এবার আর গুজব নয়। সত্যি সত্যি না ফেরার দেশে চলে গেছেন দেশের খ্যাতিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। ছোট-বড় দুই পর্দাতেই যার ছিল সমান পদচারণা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। অভিনেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
শুক্রবার পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল এটিএম শামসুজ্জামানকে। গত বুধবার থেকে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে। বৃহস্পতিবার অভিনেতার মেয়ে কোয়েল জানিয়েছিলেন, তার বাবার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। কিন্তু তিনি চলে গেলেন আপন ঠিকানায়।
এর আগে একাধিক বার খ্যাতিমান এই অভিনেতার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাকতালীয় ভাবে প্রতিবারই তাকে নিয়ে এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে রমজানের রোজার ভেতরে। ২০১৯ সালের ৭ মে সন্ধ্যায় ইফতারের ঠিক পরেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন।
সে সময় আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা। ভর্তি হয়েছিলেন হজমের সমস্যা নিয়ে। সমস্যা এতটাই খারাপ ছিল যে, তাকে লাইফ সাপোর্টে পর্যন্ত নিতে হয়েছিল। সংগত কারণেই তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সেবার সুস্থ হয়ে ফেসবুক লাইভে এসে এটিএম শামসুজ্জামান নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন।
গত বছর একই ভাবে ১৬ মে আবারও তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এবারও খবরের উৎস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ও হতাশা ব্যক্ত করেন অভিনেতার পরিবার। এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল জানান, ‘বাবা বাসাতেই আছেন এবং সুস্থ আছেন। এ পর্যন্ত বাবাকে নিয়ে এতবার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে যে আমাদের পুরো পরিবার বিব্রত।’
তবে এই দুইবারই শুধু নয়, এটিএম শামসুজ্জামানকে নিয়ে বারবারই এভাবে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। একবার তো তিনি ফেসবুক লাইভে এসে মজা করে বলেই ফেলেছিলেন যে, ‘আমাকে এতবার মারা হয়েছে যে, ভয়ে মৃত্যুই আমার থেকে দূরে পালাচ্ছে।’ কিন্তু চিরাচরিত নিয়ম মেনে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হলো এটিএম শামসুজ্জামানকে।