বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মাজহার আলী ওরফে শিবা সানু রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের জন্য রিমান্ড চেয়েছেন পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবীরা জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন মঞ্জুর না করে তাকে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এমনকি তার সাথে গ্রেফতার আরও তিন জনকে একই আদেশ দেন আদালত এবং অন্য তিন আসামি হলেন- বিএনপি কর্মী জাহিরুল ইসলাম বাশার, এম এ সেলিম মাহমুদ ও মাসুদ আলী স্বপন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করে জানান, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর আসামিরা হঠাৎ কোনো রকম অনুমোদন না নিয়ে পল্টন থানাধীন নয়াপল্টনস্থ হোটেল ভিক্টরির সামনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। মামলার বাদী ও তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজার যাতায়াতের নিরাপত্তা ও রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য আসামিদের রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই আসামিরা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাদের স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। তারা বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল কর্মী।
তারা সুকৌশলে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা করে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের সহযোগী মামলার এজাহারনামীয় ও পলাতক অপরাপর উচ্ছৃঙ্খল আসামি নেতাকর্মীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক গ্রেফতারের নিমিত্তে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের পুলিশ রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত,১৯৯৮ সালে ‘মাতৃভূমি’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শিবা সানু বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন । তবে তার ক্যারিয়ারের সোনালি সময় আসে ২০০১ সাল থেকে। সে সময় চলচ্চিত্রে অশ্লীল যুগের প্রায় সব নায়কের সঙ্গেই তাকে খল চরিত্রে দেখা যায়।