Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জঙ্গিদের হামলায় আহত পুলিশ কনস্টেবল আজাদ রাজারবাগ হাসপাতালে ভর্তি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫৯ PM
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৫:০০ PM

bdmorning Image Preview


জঙ্গি ছিনতাইয়ের সময় মারধর ও পিপার স্প্রেতে আহত পুলিশ কনস্টেবল আজাদকে ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার বিচার শুরুর দিন দুই জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা।

এদিন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান ২০ আসামি বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। 

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার জাকির এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন কারাগারে আটক ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে পলাতক ছয় আসামি উপস্থিত ছিলেন না। আদালতে শুনানি শেষে তাদের আদালত থেকে বের করা হয়। এরপর সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার পথে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেটে সামনে পৌঁছালে দুইটি মোটরসাইকেলে করে চার জঙ্গি পুলিশের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তারা একটা মোটরসাইকেল ফেলে রেখে যায়।

ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।

গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবের নাম রয়েছে।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত এবং ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

Bootstrap Image Preview