Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমিকাসহ পুলিশের কনস্টেবলকে আটকে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৪

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৩৯ PM
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


প্রেমিকাসহ পুলিশ সদস্যকে আটকে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে মারধর ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী সুমন ডাকুয়া (২৬), তার সহযোগী বরিশাল নগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী জালাল আহম্মেদ লেনের বানাত মঞ্জিলের বাসিন্দা পারভেজ হাওলাদার (২২) এবং ঝালকাঠির রাজাপুর থানার দক্ষিণ সাতপুর এলাকার বাসিন্দা তানিয়া আক্তার (২১) ও তার বড় বোন রিমা আক্তার (২৫)। মামলায় পলাতক দুই আসামি হলেন বায়েজিদ আলম (২৮) ও রোহান (২০)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাখালী এলাকার বাসিন্দা ও ভোলা জেলা পুলিশের কনেস্টবল আনিসুর রহমানের সঙ্গে তানিয়া আক্তারের মোবাইল ফোন ও ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ দিনের ছুটিতে তিনি বাড়িতে আসেন। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে আসেন এবং তানিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। দেখা করতে গিয়ে তানিয়ার সঙ্গে বিএম কলেজের মসজিদ গেটের বিপরীত পাশের জালালাবদ লেনের একটি বিল্ডিংয়ের নিচ তলার ফ্ল্যাটে যান। 

সেখানে আনিসুর রহমানকে আটকে ছাত্রলীগ কর্মী সুমন ডাকুয়া ও তার সহযোগী পারভেজ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা আনিসুরের কাছ থেকে নগদ তিন হাজার, এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করে দুই হাজার এবং বিকাশে আরও পাঁচ হাজার টাকা আদায় করে। খবর পেয়ে আনিসুরের ভাই ও ফুফা এসে সুমন ডাকুয়া ও পারভেজকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে এসে থানায় মামলা করে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কনস্টেবল আনিসুরের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল তানিয়ার। সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরে দেখা করতে আসলে ছাত্রলীগ কর্মী সুমন ডাকুয়া ও সহযোগী পারভেজ তাদের রুমের মধ্যে আটকে টাকা দাবি করেন। মামলায় দুই ছাত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

Bootstrap Image Preview