Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তামাকের দাম বাড়াতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ ৯৭ সাংসদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২, ০৪:৪৪ PM
আপডেট: ২৩ জুন ২০২২, ০৪:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও বাড়তি রাজস্ব আয়ের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে, ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং’ এর উদ্যোগে অর্থমন্ত্রীর নিকট চিঠির মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরের চূড়ান্ত জাতীয় বাজেটে সকল ধরণের তামাক ও তামাকপণ্যের কর বৃদ্ধি করে মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়েছেন ৯৭ জন সংসদ সদস্য। তারই অংশ হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নিকট এ ব্যাপারে অবগত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে ফোরামটি।

বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কার্যালয়ে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশে ৯৭ সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠির একটি কপি পার্লামেন্টারি ফোরামের পক্ষে ফোরামটির সাচিবিক সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নিকট প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং- এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তামাকের উপর যুক্তিযুক্ত কর বৃদ্ধি বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। পৃথিবীব্যাপী তামাকের কর বাড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধি একটি অনুসৃত পদ্ধতি। সেই ধারাবাহিকতায়, প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে বড় অংকের রাজস্ব আয় সম্ভব হবে; যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে ব্যবহার করার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো এবং তামাকের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।

চিঠিতে তামাকপণ্যের কর ব্যবস্থা আরও সহজ করার পাশাপাশি সকল সিগারেট; বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও তামাকপণ্য ব্যবহার হতে বিরত রাখতে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিড়ি ও সকল ধরণের ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখনও ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ) তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস্ ২০১৭)। তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

Bootstrap Image Preview