দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়েছে। তবে আয়ের বড় অংশই গুলশান বনানীর মতো অভিজাত এলাকার ধনীদের কাছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘বৈরি আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষিপণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক ওই সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বিএজেএফ এর সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
সংলাপে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এখন ডিমে দুধে এবং মাংসে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের মানুষের গড় আয় বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রায় ২৬০০ ডলারের পার ক্যাপিটা ইনকাম। যদিও আয়ের বড় অংশই গুলশান-বনানীর বড় লোকদের কাছে।
গ্রামের অনেক মানুষ এখনও ডিম কিনে খেতে পায় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও গ্রামের একজন মা তার ছেলেকে ডিমসহ বাজারে পাঠিয়ে দেন, বিক্রি করার জন্য। ছেলের মুখে ডিম দিতে পারে না। গরুর দুধ বাজারে পাঠিয়ে দেয়, সংসারের খরচ মেটানোর জন্য। এই পরিস্থিতি এখনও রয়েছে। এজন্য গ্রামে কৃষি আয় আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ বাড়াতে হবে।’
গ্রামের কৃষি ছাড়া অন্যান্য অর্থনীতির যে দিকগুলো আছে সেগুলোতে নজর দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের নিয়ে ওয়ার্কশপ আয়োজনের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।
এ ছাড়া কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ দিতে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে আহ্বান জানান তিনি।