Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

টাকা না দিয়ে আট পাঞ্জাবি নেয়ার পর ফেরত দিলেন ঢাকা কলেজের তিন ছাত্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০১:৩০ PM
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০১:৩০ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকার একটি দোকান থেকে টাকা না দিয়ে আটটি পাঞ্জাবি নিয়ে গেলেও পরে তা আবার ফেরত দিয়েছেন ঢাকা কলেজের অভিযুক্ত তিন ছাত্র। দোকান মালিক একাত্তর টেলিভিশনকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে সেখানকার একটি দোকান থেকে টাকা না দিয়ে ঢাকা কলেজের তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে আটটি পাঞ্জাবি নেয়ার অভিযোগ উঠে। ব্যবসায়ীরা জানান, নিউমার্কেটে সংঘর্ষ শেষে বুধবার বিকেলে কিছু দোকান খোলার পর, তারা এ ঘটনা ঘটায়। 

বিচার পাবেন না ভেবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও অভিযোগও জানাতে চাননি সংশ্লিষ্ট মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা। তবে সিসি ক্যামেরায় ছবি দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। 

দুই দিনের সংঘর্ষের পর বুধবার বিকেলে নিউমার্কেট ও সাইন্সল্যাব এলাকায় অল্প কিছু দোকান খুলেছিল ব্যবসায়ীরা। থমথমে সেই পরিস্থিতির মধ্যেও সাইন্সল্যাবের বাইতুল মামুর মসজিদ মার্কেটে একই মালিকের দুটি দোকানে যায় ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। 

সেখানকার একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আট জনকে দোকানে ঢুকতে দেখা গেছে। যারা কোন টাকা নিয়ে দোকান থেকে আটটি পাঞ্জাবি নিয়ে চলে যায় বলে জানান দোকানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম।

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্র। এদের একজন মোহাম্মদ আলী। অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। থাকেন কলেজটির আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হলে।

মোহাম্মাদ আলীর দাবি তিনি আগে নেয়া পাঞ্জাবি পাল্টাতে গিয়েছিলেন। স্বীকার করেন তার সাথে থাকা একজন একটি পাঞ্জাবি নিয়ে এলেও পরে ফেরত দিয়েছেন।

লাল টিশার্ট পরা যুবকের নাম শাহরিয়ার হাসনাত জিওন। পাশে থাকা যুবকের নাম হৃদয়। হৃদয়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন পাঞ্জাবি ফেরত দিয়ে দেবেন। 

মোহাম্মাদ আলীর দাবী, তিনি ওই দোকানে গিয়ে অন্যদের দেখেছেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দলে রফিকুল ইসলাম নামে একজন আছেন। আর হৃদয় নামে আছেন দুই জন। একজনের নাম প্রিতম হৃদয়। অন্যজন মহসিন উদ্দিন হৃদয়। 

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এমন কিছু ছাত্র আছেন যাদের প্রায় সবাই একই পদ্ধতি অনুসরণ করেন। 

তারা দোকানে গিয়ে কিছু একটা নিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে বলেন বাকিটা পরে দিচ্ছি। থানায় গেলেই প্রতিকার পাওয়া যাবে ব্যাপারটা এমন না। সেক্ষেত্রে লোকসান মেনেই ব্যবসা করতে হয়। 

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারের বলেন, এমন গুটি কয়েক শিক্ষার্থীর জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের বদনাম হোক তারা চান না। 

তিনি বলেন, দোকানটি থেকে পাঞ্জাবি নিয়ে যাবার অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রশাসনের পদক্ষেপে তারা কোনো আপত্তি জানাবেন না। 

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ না পেলেও তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।  

Bootstrap Image Preview