কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাইম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ২ টায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন।
গত ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর বর্তমান ও সাবেক ৭ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এটাই প্রথম কোনো ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা।
বন্দুকযুদ্ধে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনার উদ্ধৃতি দিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি কুমিল্লার সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিচয় আমরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে যেসব গণমাধ্যম আমাকে কোট করে সংবাদ প্রকাশ করছে সেটা তাদের ব্যাপার। আমি কাউকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিইনি।’
এদিকে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের ছোট ভাই হৃদয় সরকার জানান, হাসপাতালে যে মরদেহটি রয়েছে সে আমার ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
নিহত রাজু কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামি করে তিনজন ও অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ সীমান্তে মাদক কারবারির গুলিতে মহিউদ্দিন সরকার নাঈম নিহত হন। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।।