রোহিঙ্গা নবী হোসেনকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাদক ও অস্ত্রপাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে খুঁজছে বাংলাদেশের এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
এই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে বিজিবি ইতিমধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়ায় পোস্টারও লাগিয়েছে। সেই পোস্টারে অস্ত্র হাতে থাকা নবী হোসেনের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। এসব পোস্টার শুক্রবার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালীসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়।
বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তে মাদক ও অস্ত্রপাচারসহ নানা চোরাকারবারের অন্যতম হোতা এই রোহিঙ্গা নবী হোসেন। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে ধরা সম্ভব হলে সীমান্তে সংঘটিত অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হবে।
তবে নবী হোসেনকে রোহিঙ্গা নাগরিক উল্লেখ করলেও তার অবস্থান মিয়ানমারে নাকি বাংলাদেশে এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি বিজিবি। তারা বলছেন, নবী হোসেন সীমান্তে অপরাধ সংঘটন করলেও তার অবস্থান মিয়ানমারে নাকি বাংলাদেশে— তা বিজিবি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে তা নিশ্চিত হতে বিজিবি কাজ করছে। তাকে ধরা সম্ভব হলে নানা তথ্য সংগ্রহ করাও সম্ভব হবে।
বিজিবি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, সীমান্ত দিয়ে নবী হোসেনের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ইয়াবার চালান পাচার হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মজুদ হয়। সম্প্রতি উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলির পর তার গোপন আস্তান থেকে ক্রিস্টাল মেথ আইসের সবচেয়ে বড় চালান উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নবী হোসেন অস্ত্রপাচার, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত। এসব অভিযোগে নবী হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
তারা বলছেন, নবী হোসেনকে ধরা সম্ভব হলে সীমান্তে অপরাধ প্রবণতা অনেকখানি কমে যাবে। কারণ তার নেতৃত্বে অপরাধীদের রয়েছে বড় একটি সংঘবদ্ধ দল। চিহ্নিত মাদকপাচারি এই ইয়াবা সম্রাট নাফ নদীতে জেলেদের মাছ লুট ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধেও জড়িত।