Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইউক্রেনে যুদ্ধপরিস্থিতি: প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৬:০৬ PM
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৬:০৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


যুদ্ধপরিস্থিতি বিরাজ করছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। পশ্চিমা গোয়েন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে-যেকোনো সময় ইউক্রেনে বিমান হামলা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া।

এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে কেউ দেশে ফিরতে চাইলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যে কোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।

রাশিয়া চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের উপর হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারি নাকি সেই হামলা শুরু হতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজে এমনটা মনে না করলেও সেই দিনটিকে জাতীয় ঐক্য দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বুধবার সারা দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে সকাল দশটায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার ডাক দিয়েছেন। 

গোটা বিশ্বের কাছে ইউক্রেনের ঐক্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা যেভাবে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় কূটনীতিকদের ইউক্রেনের পশ্চিমে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে, সে বিষয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, পশ্চিম ইউক্রেন বলে কিছু নেই, অঘটন ঘটলে গোটা দেশই সমানভাবে ঝুঁকির মুখে পড়বে।

এমন অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনার মাঝে সোমবার কিয়েভ সফর করলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। তিনি ইউক্রেনের প্রতি জার্মানির সংহতি ও সে দেশকে সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন। সে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা নিয়ে জার্মানি কোনো আপোশ মেনে নেবে না, বলেন শলৎস।

 

মঙ্গলবার শলৎস মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। কূটনৈতিক পথে বর্তমান উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালাতে চান জার্মান চ্যান্সেলর। সোমবার রাশিয়াও সংলাপের উপর জোর দিয়েছে। ইউক্রেনের উপর হামলার প্রস্তুতির অভিযোগ বার বার খণ্ডন করে মস্কো যাবতীয় সামরিক তৎপরতাকে শুধু মহড়া হিসেবে তুলে ধরছে। শলৎস রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইউক্রেনের উপর হামলা চালালে মস্কোর বিরুদ্ধে জোরালো নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিচ্ছেন। ইউরোপে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী হিসেবে জার্মানির হুমকি রাশিয়ার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এমন নিষেধাজ্ঞা সত্যি কার্যকর হলে জার্মানি তথা ইউরোপেরও অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও পশ্চিমা বিশ্ব সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে ইউরোপে জ্বালানির মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

শলৎসের পূর্বসূরী আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের এক বিশেষ সম্পর্ক ছিল। দু'জনেই একে অপরের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারতেন। শলৎস এর আগে পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও চ্যান্সেলর হিসেবে এই প্রথম দুই নেতা মুখোমুখি হচ্ছেন। শলৎসের সামাজিক গণতন্ত্রী দল রাশিয়ার সঙ্গে সু-সম্পর্কে বিশেষভাবে আগ্রহী হওয়ায় পুটিন তার প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। শলৎস এখনো পর্যন্ত সরাসরি ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ গ্যাস পাইপলাইনের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয়ে মন্তব্য না করায়ও রুশ প্রশাসন জার্মানির কূটনৈতিক উদ্যোগকে কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব দিতে পারে।

Bootstrap Image Preview