বরগুনার তালতলীতে দুই পাতার নোট লিখে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার শিকারীপাড়া এলাকার নিজবাড়ি থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রুমা (১৮) শিকারীপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মোল্লার মেয়ে। তিনি তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই কলেজ শিক্ষক আবদুর রহমানের কাছে প্রাইভেট পড়ে সকাল ১০টায় বাড়িতে আসে। এর পরে বাবা আলাউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে সকালের খাওয়াদাওয়া শেষ করেন। বাবা ও মা পারিবারিক কাজে মাঠে ধান শুকাতে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে বাবা ও মা বাসায় আসেন। এসে বাড়ির দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখে মেয়েকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোথাও মেয়ের সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ওঠেন। পরে ওপরে (মাচা) গিয়ে দেখতে পান কীটনাশকের বোতল নিচে পড়ে আছে, আর মেয়ে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তার সুরাত হাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত রুমার বাবা আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার মেয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার ভেতরে যেকোনো সময় প্রথমে বিষ পান করেন। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আড়ার সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানি না। আমি ওর কোনও চাওয়া অপূর্ণ রাখিনি, আমার খুব আদরের মেয়ে ছিল।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রুমার সঙ্গে একই এলাকার এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার ছেলের পরিবার মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু মেয়ে মনে করে অন্য জায়গায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। এজন্য দুই পাতার সুইসাইড নোট লিখে প্রথমে বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করেন, পরে ঘরের মাচা আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সঙ্গে দুই পাতার একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।