Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেন্টমার্টিনে ৭ দিনের মধ্যে পাকা স্থাপনা ভাঙ্গার নির্দেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২২, ০৪:২৫ PM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০২২, ০৪:২৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


প্রতিবেশ সংকটাপন্ন প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে অব্যাহত স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে ৪ টি আবাসিক রিসোর্টকে অবৈধ পাকা ভবন নির্মাণের দায়ে জরিমানা করেছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জব্দ করা হয়েছে দ্বীপের কয়েকটি নির্মাণাধীন রিসোর্টের বিপুল পরিমাণের নির্মাণ সামগ্রী। সেই সাথে নির্মাণাধীন কয়েকটি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে নিজ খরচে স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। ইত্তেফাক

এদিকে, দ্বীপে পরিবেশ আইন লংঘন পুর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারিরা উল্টো পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে আইন লংঘনের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তারা বলেছেন, খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরই দেশের প্রচলিত আইন লংঘন করে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে পাকা দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্বীপের পাকা ভবনের রিসোর্টগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে এমন ‘উল্টো অভিযোগের’ মুখে পড়েন অভিযান পরিচালনা কারিরা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নওরীন হকের নেতৃত্বে দ্বীপে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আজহারুল ইসলামসহ পরিবেশকর্মী ও পুলিশের অভিযানে আটলান্টিক রিসোর্টকে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

রিসোর্টটির দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন এক লাখ টাকা জরিমানা করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন- যে দ্বীপে পাকা ভবন করার দায়ে আমাদের লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে সেই দ্বীপেই পরিবেশ অফিসটিও নির্মাণ করা হয়েছে পাকা দুতলা ভবন। পরিবেশ অধিদপ্তর পাকা ভবন করলে দূষণ হয়না কিন্তু আমরা করলে নাকি দূষণ হয়?

এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আজহারুল ইসলাম বলেন- পরিবেশ অধিদপ্তর সরকারের যথাযথ অনুমতি নিয়ে দ্বীপে পাকা ভবনের অফিস নির্মাণ করেছে। এটা সরকারি অফিস, কোন বাণিজ্যিক স্থাপনা নয়। আমরা দ্বীপে এরকম স্থাপনা করতে কাউকে নিষেধ করছি না। কেবল বলছি, সরকারের নিয়মানুযায়ি অনুমতি নিয়ে করুন।

পরিবেশের কক্সবাজার অফিসের উপ পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা বলেন, দ্বীপে কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের সময় থাকার জন্য অফিসে অবশ্য রেষ্টহাউজ হিসাবে কয়েকটি কক্ষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবারের অভিযানের সম্পর্কে বলেন, দ্বীপে সাগরের পানি ছোঁয়া সৈকতে নির্মাণাধীন রয়েছে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ অবদুর রশীদের মালিকানাধীন ‘ড্রিমার্স প্যারাডাইস’ নামের রিসোর্টটি। ভ্রাম্যমান আদালত রিসোর্টটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে নিজেদের খরচে আগামী সাত দিনের মধ্যে স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দ্দেশনা দিয়েছে। অনুরুপ প্রিন্স হ্যাভেনকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা ও অবৈধ স্থাপনার দায়ে ফ্রেন্ডস রিসোর্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে এগুলোসহ আরো কয়েকটি পাকা স্থাপনা ও সাতদিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দ্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্থাপনা পরিবেশ কর্মীরা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন।

অপরদিকে, সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ আশপাশের এক হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া (এমপিএ) ঘোষণা করার বিষয়টির গুরুত্ব জনসমক্ষে তুলে ধরে করণীয় নির্ধারণের জন্য এক মতবিনিময় সভা আহবান করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী রবিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে এ সভা ডাকা হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এ বিষয়ে জানিয়েছেন, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপটি যেকোন ভাবে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এ কারণে দ্বীপ ও দ্বীপ সন্নিহিত সাগরের পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকেই সচেতন করা দরকার।

Bootstrap Image Preview