রাজধানীর উত্তরায় প্রেমিককে বেঁধে এক তরুণীকে (২৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো- মো. সোহেল রানা, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. মঈনুল হোসেন, মো. সুমন আলী ও মো. মাসুম আলী।
উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তাপস কুমার দাস বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ে নির্মাণ শ্রমিক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে ভিকটিম তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৪ ডিসেম্বর ওই তরুণী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জহিরুলের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরা পূর্ব থানার ৬নং সেক্টর ২নং রোডের ৪নং নির্মাণাধীন বাসায় আসেন। পরের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় নির্মাণাধীন বাসায় এসে পাঁচজন মিলে জহিরুলকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ ডিসেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, মামলার পরই তদন্ত নেমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে ওইদিন রাত (৩০ ডিসেম্বর) ৯টায় উত্তরা পূর্ব থানার ৬নং সেক্টর এলাকা থেকে সোহেল ও জয়নালকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাত ১১টায় আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মঈনুল, সুমন ও মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়।
তাপস কুমার দাস জানান, ঘটনার পর ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে ঢাকায় এসে মামলা দায়ের করেন। তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় প্রেমিক জহিরুলের সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃতরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদেরকে উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।