ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলার অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে যেকোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় গত ৪ ডিসেম্বর ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলায় তারা নজরদারিতে রয়েছেন।
তিনি বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে এরইমধ্যে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এমন অভিযোগে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শুরু থেকে সংযুক্ত করা হয়েছিল নামিদামি তারকাদের।
অনেকের অভিযোগ জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা। এবার তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন সাদ স্যাম রহমান নামে এক ভুক্তভোগী। ইভ্যালি প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় জনপ্রিয় তারকা তাহসান, অভিনেত্রী মিথিলা এবং শবনম ফারিয়াকে গ্রেফতার করা হবে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন।
গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মামলার এজাহারে সাদ স্যাম নামে এক ভুক্তগোগীর দায়েরকৃত অভিযোগে বল হয়, ইভ্যালি থেকে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকায় মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি।
মামলার আসামী তাহসান খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। কনসার্টে অংশ নিতেই সেখানে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে মামলার বিষয়ে তিনি জানান, মামলার বিষয়ে জেনেছি। এ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তাহসান বলেন, ‘প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবেন না। প্রচারণার দায়িত্ব পালন করা কোনোভাবেই অপরাধী হতে পারে না। আমি চুক্তি করেছিলাম। চুক্তি অনুযায়ী আমার বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। কিন্তু আমি বিজ্ঞাপন করিনি। এর আগে দুটো লাইভ করে অনেক কমপ্লেইন পেয়েছি। যার ফলে আর অগ্রসর হইনি। চুক্তি বাতিল করেছি। ’
মানহানির মামলা করবেন জানিয়ে তাহসান বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে মানসিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর কিছু চটকদার শিরোনাম দেখে অবাক হয়েছি। মামলা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার (৯ডিসেম্বর) রাতে এই তথ্য প্রকাশ হলো কেন? এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না জানি না। ’
তাহসান বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার বা নজরদারিতে বলতে কী বোঝায়? হ্যাঁ, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের তো একটা নজরে রাখতেই হয়। যা হবে আইনগতভাবে হবে। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। যদি আমাদের দোষ না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের তো কোনো সমস্যা হবে না। আর তদন্ত করে পেলে তখন যেটা আইনত হবে তাই হবে। ’
জানা গেছে, এই মামলায় ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা ছাড়াও মামলায় পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে তাহসানকে। আট ও নয় নম্বর আসামি করা হয়েছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাকে।