গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনে হামলা হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে। হামলার মধ্যে একছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রকে ঢাকা কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগর উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরাও শুনেছি আইডিয়াল কলেজের একজন ছাত্রকে ঢাকা কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে দ্রুত আমাদের জানাতে বলেছি।’ তিনি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ছাত্রটির নাম–পরিচয় তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রথম আলোকে।
হাফ পাশের দাবিতে আজ বেলা ১২ টার দিকে ছাত্ররা প্রথমে নীলক্ষেত ও পরে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে সমাবেশ করে। বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে আজকের মতো আন্দোলনের সমাপ্তি টানে ছাত্ররা। তারা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল তরুণ ছাত্রদের ধাওয়া দেয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আইডিয়াল কলেজের একছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার আগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে তর্ক বাধান৷ কথা-কাটাকাটির মধ্যেই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়৷ কিছু শিক্ষার্থী এই হামলার শিকার হন৷
প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউমার্কেটের মোড় ঘুরে ফের সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত একটি মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা৷ ওই মিছিলে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে হামলা চালান৷
শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রথম দফা হামলার পর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে তাঁদের ওপর আরেক দফা হামলা করে ছাত্রলীগ৷ এই হামলার সময় রাস্তায় স্কুল-কলেজের পোশাক পরা সব শিক্ষার্থীকেই মারধর করা হয়৷ হামলার পর 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা ঢাকা কলেজের ভেতরে চলে যান৷
ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই৷ হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মুঠোফোনে একাধিক কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি৷
সূত্রঃ প্রথম আলো