Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না, লন্ডন থেকে ছুটে এলেন কোকোর স্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০১:২৪ PM
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০১:২৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তাঁর পুরোনো সমস্যাগুলোর পাশাপাশি শরীরে নতুন জটিল একটি রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে কেউ কিছু বলছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করতে আজ সোমবার বিকেল চারটায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাবেন।

এদিকে খালেদা জিয়াকে দেখতে গতকাল রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে শাশুড়িকে দেখতে এভার কেয়ার হাসপাতালে  ছুটে এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল বেরিয়ে যান। বিএনপি ও বিভিন্ন সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।

অবশ্য খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ঢাকায় এসেছেন বলে তিনি পত্রিকায় দেখেছেন। তাঁর সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ বা কথাবার্তা হয়নি।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে বলেন, তাঁর (খালেদা জিয়া) অবস্থা ভালো না। জ্বর আসে, কিডনির সমস্যা আছে, সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আরও নানা জটিলতা আছে। এ জন্য আমরা সরকারকে বারবার বলেছি যে তাঁকে বিদেশে পাঠাব। কিন্তু সরকার তো কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। তাঁর যে জটিলতা এখানে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়, বিদেশে যেতে হবে।’

১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুদিন আগে থেকে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর গত দুই সপ্তাহে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। চিকিৎসকেরাও কিছু বলছেন না। এ বিষয়ে কথা বলতে দলের উচ্চপর্যায় থেকে মানা আছে চিকিৎসকদের একজন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকার নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন খালেদা জিয়া। কিন্তু বাসায় কিছুদিন ধরে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বৃদ্ধি করা হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন জানানো হলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।

Bootstrap Image Preview