Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশে স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলাসহ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৩:০৩ PM
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৩:০৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বিদেশি চ্যানেলগুলো তাদের মূল কনটেন্টের সাথে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না- সরকারের তরফ থেকে এমন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দেশে স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলাসহ সব দেশ বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে রাত থেকে।  

 

বিজ্ঞাপন প্রচার ছাড়া বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার সম্ভব নয়- এমন যুক্তি দেখিয়ে সম্প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত এসেছে কেবল অপারেটরদের দিক থেকে। ফলে গতকাল রাত থেকেই দেশে কোনো বিদেশি চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ মুহূর্তে ব্রডকাস্ট অপারেটরেরা বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে চাচ্ছে না। আসলে এখনও দেশে সময় আসেনি বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করার। ফলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।  

গতকাল রাত থেকে বিদেশি চ্যানেলগুলো দেখতে গেলে টেলিভিশনের পর্দাজুড়ে একটি বার্তা দেখা যাচ্ছে। সেখানে লেখা- গ্রাহকদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ১ অক্টোবর থেকে বিজ্ঞাপনবিহীন ছাড়া কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে না। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছি। 

বিভিন্ন এলাকায় কেবল অপারেটররা নিজেদের মতো করে এই একই বার্তা দিচ্ছেন। 

গত ২ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর, আকাশ ডিটিএইচ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ বিষয়ে তথ্য জানিয়েছিলেন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, আইন অনুযায়ী দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নে শুক্রবার (১ অক্টোবর) থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১ অক্টোবর থেকে আমরা সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। কোনো বিদেশি চ্যানেলে ক্লিন ফিড দেখানো না হলে এবং মন্ত্রণালয়, টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যাবল অপারেটর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনে সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনো ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করে নিজেরা বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে আগামীকাল থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতি পাওয়া ডিস্ট্রিবিউটদের এবং ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সরকার কী চায়

মূলত বাংলাদেশের আইনে বিদেশি টেলিভিশনগুলোর বাংলাদেশে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ নেই। এ কারণে আগেও কয়েক দফায় বিদেশি চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার।

এ দফায় নতুন করে আবার একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে আইনের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব হারানোর বিষয়টিও বড় করেই এখন চিন্তা করা হচ্ছে। বিদেশি চ্যানেলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলো থেকে একদিকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না, আবার ওই সব চ্যানেল বাংলাদেশে জনপ্রিয় হওয়ায় অনেক মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য বিদেশি চ্যানেলকেই বেছে নিয়েছে।

এসবের পরও বিদেশি কিছু চ্যানেল বিশেষ করে ভারতীয় কিছু চ্যানেল বাংলাদেশে এতো বেশি জনপ্রিয় যে সেগুলো বন্ধ করা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। 

Bootstrap Image Preview