Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাদক মামলায় নায়িকা একার জামিন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২১, ১২:২৩ PM
আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২১, ১২:২৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন নায়িকা একা।  মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে গৃহকর্মী নির্যাতনের দায়ে শনিবার (৩১ জুলাই) রাতে তাকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। পরে তার বাসা থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। তারপর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা গৃহকর্মীকে হত্যাচেষ্টা ও মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা সিমন হাসান একার রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে ১ আগস্ট কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই (নি.) মো. ফয়সাল আসামি একাকে আদালতে হাজির করে গৃহকর্মীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তিন দিন এবং মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

হত্যাচেষ্টা মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গৃহকর্মী হাজেরা বেগম মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে গত ৩ মাস ধরে কাজ করে আসছিলেন। কাজ শেষে গত ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একার কাছে পাওনা বকেয়া বেতনের দুই মাসের ৬ হাজার টাকা চান। তখন একা তাকে বলেন, তোকে দিয়ে আর কাজ করাবো না এবং হাজেরা বেগমকে গলা ধাক্কা দিয়ে দেয়। পাওনা টাকা না দিলে যাবে না জানালে হাজেরা বেগমকে এলোপাথারী মারপিট করে এবং রান্নাঘর থেকে বটি এনে মাথায় কোপ দেয়। হাজেরা বেগম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার বাম হাত জখম হয়। তখন ভিকটিম ডাক চিৎকার দিলে একা তার মুখ চেপে ধরে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

হাজেরা বেগমকে যে বটি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তা উদ্ধারসহ মামলার আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য একার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে, মাদক মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পুলিশ হাজেরা বেগমকে উদ্ধার করতে গিয়ে একার বাসায় অভিযান চালায়। একার বেড রুমের বিছানার ওপর থেকে ৫ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম গাঁজা, ৫৫০ মিলি মদ উদ্ধার করে।

মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলায় একাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ইয়াবা, গাঁজা ও মদ নিজের কাছে রাখেন। আসামি মামলার ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানা যায়। মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তার ও মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের সর্বশেষ গন্তব্য স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এ অবস্থায় মাদক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

প্রথমে আদালত মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এরপর দুই মামলায় রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল দুই মামলায় তিন দিন করে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Bootstrap Image Preview