Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংঘবদ্ধ ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে রূপালীর লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় আমগাছে!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১, ১২:৫১ PM
আপডেট: ১২ জুন ২০২১, ১২:৫১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


অবশেষে তালার জেঠুয়ায় গৃহবধূ রূপালী বেগমকে (৩৫) হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় রূপালীর স্বামী অভিযোগ করেছেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা শেষে বাড়ির পাশের আমগাছে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিষয়টিকে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে থানায় এজাহার না করে অপমৃত্যু মামলা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

গত ২১ মে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া এলাকায় বাড়ির পাশের একটি আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় স্থানীয় মনিরুজ্জামান সরদারের স্ত্রী রূপালী বেগম (৩৫) এর লাশ উদ্ধার হয়। ওই সময় পরকীয়ার জেরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে এলাকায় গুঞ্জন থাকলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ তার মরদেহ মর্গে পাঠায়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, রূপালীর ঘাড়ে ছেলা যখম,দু’হাতের বাহুতে কালো দাগযুক্ত জখম,পরিহিত ব্লাউজের মাঝ বরাবর ছেঁড়া ও খোলা ছিল। এছাড়া ঝুলন্ত এলাকার নীচের মাটিতে একাধিক মানুষের খালি পায়ের ছাপ ছিল। এছাড়া নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ থাকায় তার স্বামীর ধারণা, তাকে ৪/৫ জনের সহায়তায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা শেষে ঘটনাটিকে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে বাড়ির পাশে আমগাছে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

মামলায় রূপালীর স্বামী মনিরুজ্জামান সরদার আরও উল্লেখ করেন, একই এলাকার জামাল ফকিরের ছেলে মো: সেকেন্দার (৪০) এর কারণে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় ছিল না। এমনকি তিনি নিরক্ষর ও সহজ-সরল প্রকৃতির হওয়ায় রূপালী তাকে মুল্যায়ন করত না। এসব ঘটনায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরষ্পর আলাদা ঘরে রাত্রি যাপন করতেন। এমন অবস্থায় প্রায়ই রাতে মনিরুজ্জামান রূপালীর ঘর থেকে সেকেন্দারসহ বিভিন্ন মানুষের গলার শব্দ শুনতে পেতেন। এমনকি ঘটনার রাতসহ কয়েক দিন যাবৎ তিনি সেকেন্দারসহ ৪/৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে তার বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। ঘটনার রাতে আনুমানিক ২ টার দিকে মনিরুজ্জামানের ভাই আসাদুজ্জামান সরদার (৪৬) তার মাছের ঘের পাহারা দিয়ে বাড়ি ফিরে বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন লোককে পালিয়ে যেতে দেখেন এরপর সেখানে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রূপালীর লাশ দেখে চিৎকার দেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রূপালীর লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় যে, ঘটনার দিন সেকেন্দার তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে রূপালীর ফোনে অনৈতিক কাজের জন্য চাপ প্রয়োগ করে অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে। ওইদিন তারা রূপালীর স্বামীকেও হুমকি প্রদান করে। ধারণা করা হচ্ছে, সেকেন্দারের সাথে রূপালীর অবৈধ সম্পর্ক থাকার জেরে ঘটনার রাতে সেকেন্দারসহ আরো ৪/৫ জন তাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হত্যা শেষে লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় গত ৩১ মে রূপালীর স্বামী মনিরুজ্জামান সরদার বাদী হয়ে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আমলী আদালত (৩) এ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড’ এ একটি মামলা করেন।

Bootstrap Image Preview