Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ শনিবার, মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৯ বছরের শিশুটিকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেছিল হালিমা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২১, ০৪:১২ PM
আপডেট: ০৫ জুন ২০২১, ০৪:১২ PM

bdmorning Image Preview


নিখোঁজের ছয় মাস পর সিলেটের একটি হোটেল থেকে ৯ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই শিশুকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করার অপরাধে নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (৪ জুন) নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় হোটেল গুলবাহার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৫ জুন) শিশুর বাবা ছয়জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন-কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা হালিমা বেগম (৩৮), সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরের গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার ও জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলী (৩০) এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলী ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬)।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও থেকে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন নিখোঁজ শিশুর বাবা।

শিশুটি একপর্যায়ে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার লাকসাম গ্রামের হালিমা বেগম নামের এক দেহ ব্যবসায়ীর হাতে পড়ে। হালিমা তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলী ছেলে জসিম উদ্দিনের হাতে তুলে দেন। তিনি ওই শিশুকে গুলবাহার হোটেলের পঞ্চম তলার ৫০৫ নম্বর কক্ষে শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) কৌশলে শিশুটি মোবাইলে বাবাকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে শুক্রবার দুপরে ওই শিশুকে উদ্ধার করে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, এ ঘটনায় হালিমা বেগমকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন শিশুর বাবা। ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) মেডিকেল পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

Bootstrap Image Preview