সোহেল তালুকদার।। এক মিথ্যা ঢাকতে জ্যামিতিক হারে মিথ্যা বলতে হয়। তারপর একটা সময় পর মিথ্যা আর মিথ্যায় ক্যাঁচাল বাধে। তারপর সত্যটা না চাইলেও পেটে আর চাপা রাখা যায় না।
মামুনুল সাহেব ফেরেশতা নন। তিনি রক্ত মাংসের মানুষ। তিনি ভুলে ঊর্ধ্বে নন। মানুষ বলেই তিনি ও তার বর্তমান কর্মকাণ্ড মানুষের মতোই।
মামুনুল সাহেবকে যারা মানুষের অধিক কিছু ভাবছেন আমার মতে সমস্যাটা সেখানেই।
আর ভিন্ন কিছু ভাবলে সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, ঈমান। সামগ্রিক নয়। জোর চাপিয়ে দেবার চেষ্টাও সুন্দর কিছু নয়। ধর্মেও নিষেধ আছে।
মামুনুল সাহেবের আজকের ভিডিওটায় প্রায় সবটুকো দায় স্বীকার করা। অডিও ও ছবি যা ফাঁস হয়েছে (ব্যক্তিগত গোপন কিছু ফাঁস করা সংবিধান পরিপন্থী এবং এটির আমি বিরোধিতা করি, সবার ক্ষেত্রেই করব) তাও নিজের বলে স্বীকার করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। বলছেন এগুলো তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
বোরকার রঙ, চক্রান্ত, জান্নাত, ঝর্না এইসব বাদই দিলাম। আমেনা তৈয়্যবা? ধরা না পড়লে বা ফাঁস না হলে ঝর্না তো রয়েল রিসোর্টের খাতায় আমৃত্যু আমেনা তৈয়্যবা হয়েই থাকতেন তাই না? কিন্তু কেন?
এরপর বললেন মানবিক বিয়ের কথা। সত্যি বলছি এমন বিয়ের কথা আগে কখনো শুনিনি। সেটির বিধান ধর্মে থাকলেও আমার জানা নাই। একজন ইসলামের স্কলার যদি ওয়াজে বলেন গোপনে বিয়ে করা যায় না। আবার প্রয়োজনে গোপনে বিয়ে করা যায় বলেন-তখনি সমস্যা দেখা দেয়। আবার আজ বললেন স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্য অসত্যও বলা যায়!
এভাবে নতুন নতুন তথ্য সংযোজন করা যায় কি'না তা ইসলামিক স্কলাররাই ভালো জানবেন।
আমি কেবল মানি মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। মানুষ ফেরেশতাও নয়। ধর্মের বিধান, বিচার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। একজন ইসলামিক স্কলার চাইলেই মিথ্যা বলতে পারেন না। কারণ তাকে অনেকে অনুসরণ করে। তাতে ধর্মের ক্ষতি হয়। তাই স্কলারের মিথ্যার শাস্তি হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ঘৃণিত কাজের শাস্তির সমান।