চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে কিছু চোরাকারবারি মেয়াদ উত্তীর্ণ, পচা ও নিম্নমানের চা পাতা দিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এ রকম অবৈধ কারখানার সন্ধান পেয়ে শুক্রবার রাতে ৫৫ বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল চা পাতা উদ্ধার করা হয়। এ সময় চা পাতা তৈরির মেশিন,কেমিকেল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
যদিও এসব অভিযানে পুলিশ ও বিজিবি কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। এ ব্যাপারে চা বাগান মালিক ও সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁওবাজার চৌমুনীর হাজী পারভেজ মিয়ার অটোরাইস মিলে বিজিবির একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৮১ বস্তা বা প্রায় ৩ হাজার কেজি ভেজাল চা পাতা উদ্ধার করা হয়।
এ সময় চা পাতা শুকানোর ডায়ার, মোটর,কেমিক্যাল ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। রাইস মিলের মালিক হাজী পারভেজ মিয়াকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি বলে বিজিবি সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ৫৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চোরাকারবারীরা ধানের মিলের আড়ালে দীর্ঘ দিন থেকে চা গাছের পরিত্যক্ত শুকনো পাতা, অন্যান্য গাছের পাতা ও চা ফ্যাক্টরি ওয়েস্টিস ডাস্ট সংগ্রহ করে তা পচিয়ে পরে তাতে কেমিক্যাল মিশিয়ে এ বিষাক্ত চা পাতা তৈরি করে আসছিল চক্রটি। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, আমরা মিলটি সিলগালা করে এসেছি। জব্দকৃত চা পাতাগুলো পরে পুড়িয়ে ফেলা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য,গত ১১ মার্চ পুলিশি অভিযানে উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়ন থেকে ৮৬ বস্তা নকল চা পাতা উদ্ধার করা হয়েছিল।