Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমিকার লাশ এ্যাম্বুলেন্সে রেখে প্রেমিক উধাও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২১, ০৮:১৫ PM
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১, ০৮:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


কক্সবাজারে অ্যাম্বুলেন্সে প্রেমিকার মরদেহ রেখে পালিয়েছেন প্রেমিক। পরে প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর সোমবার (১৫ মার্চ) শহরের বাহারছড়া জইল্যা এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ওই নারীর নাম ফরিদা বেগম (২৭)। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি দক্ষিণ বাইশারী এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের মেয়ে।

অ্যাম্বুলেন্সচালক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘রোববার (১৪ মার্চ) সকালে নোমান নামে এক যুবক কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে বাইশারী যাবে বলে ভাড়া করে। অ্যাম্বুলেন্সটি শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছলে নোমান পানির জন্য নেমে আর ফেরেনি। উপায় না দেখে মরদেহটি নিয়ে বাহারছড়া জইল্যার দোকান এলাকায় চলে আসি। মর্গে মরদেহ রাখলে টাকা ও পরিচয় দিতে বলে অ্যাম্বুলেন্সে রেখে অপেক্ষা করি। পরে মৃতের মোবাইল থেকে স্বজনদের ফোন করে বিষয়টি জানাই।’

ফরিদার স্বজনরা জানান, আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর বিদেশে পাড়ি জমান ফরিদা বেগম। এক সময় মোবাইলে পরিচয় হয় বাইশারী এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নোমানের সঙ্গে। তিন বছর পর দেশে ফিরে আসেন ফরিদা। পরিবারের অজান্তে গত শনিবার (১৩ মার্চ) নোমানের সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে যান ফরিদা। পরে সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে অ্যাম্বুলেন্সচালকের মাধ্যমে ফরিদার মৃত্যুর খবর জানতে পারি।

ফরিদার ভাবি রাফিজা আক্তার বলেন, ‘নোমান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক করেছে। টাকা-পয়সাও নিয়েছে অনেক। বিদেশে থাকাকালীনও নোমানকে টাকা দিয়েছে ফরিদা। ফরিদার হাতে-পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Bootstrap Image Preview