নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহারের ঘর নির্মাণের বাঁধা দেয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে ১১৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা ও তার পরিবারকে। গেলো শনিবার ওই উপজেলার মির্জাগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধার ছেলে রুহুল আমিন বলেন, ৪০ বছর ধরে আমরা মির্জাগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন বাজারের পাশের ওই জমিতে বসবাস করছি। ৩ মার্চ ওই ২ শতাংশ জমি আমাদের রেজিস্ট্রির মাধ্যমে দান করেন মির্জাগঞ্জ এলাকার নজরুল ইসলাম ও তার ভাই আব্দুল খালেক। ওই জমিতেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর বরাদ্দ পাই। আগের জরাজীর্ণ ঘরটি ভেঙে সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু হয়। কিন্তু ঘর নির্মাণে বাধা দেন জমি দান কারী নজরুল ইসলামের অপর দুই ভাই আব্বাস আলী ও রফিকুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে তারা কাজ বন্ধ করে দেন।
রুহুল আমিন আরো বলেন, আমি বিষয়টি ডোমার থানায় শনিবার দুপুরে জানাই। সন্ধ্যায় পুলিশ এসে সবার সঙ্গে কথা বলে ঘরের কাজ চালু করতে বলে। কিন্তু রোববার সকালে শ্রমিকরা কাজ শুরু করলে আবার এসে বাধা দেন আব্বাস ও রফিক। এখন আমার ১১৮ বছর বয়সী অসুস্থ মা ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি।
জমি দানকারী আব্দুল খালেক বলেন, ওই জমি আমাদের ছিল। রুহুল আমিন ৪০ বছর ধরে সেখানে একটি জরাজীর্ণ ঘর বানিয়ে বসবাস করছিল। এ কারণে তাদের জমিটি দান করি আমি ও আমার ভাই নজরুল।আমার অপর দুই ভাইয়ের জমি পাশেই। এখানে তাদের বাধা দেয়ার কোনো কারণ দেখছি না।
ডোমারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল হক জানান, জমিটি নিয়ে কিছু ঝামেলা রয়েছে। বিষয়টির সমাধান করে সোমবার থেকে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হবে।