Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রহিমার প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে কৃষিকাজে মগ্ন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১১:২৪ AM
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১১:২৭ AM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


রহিমা খাতুনের প্রেমে মজে নিজের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছেন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস হোগল। এখানে সুখের সংসার বেঁধেছেন তারা। শুধু তাই নয়, আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার এখন হয়ে গেছেন কৃষক।

সম্প্রতি যশোরের কেশবপুরের মেহেরপুর গ্রামে আমেরিকান এই ইঞ্জিনিয়ারের সাক্ষাৎ মিলেছে। ক্রিস-রহিমা দম্পতি মুন্সি মেহেরুল্লার মাজারের পাশে বাস করছেন। ক্রিস গেইল নিজেকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিয়েছেন। কৃষি কাজ করেন পরম মমতা নিয়ে। নিজেই জমিতে ধান কাটেন, বোঝা টেনে নিয়ে ধান তোলেন ভ্যানে।

ক্রিস হোগল জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের বাসিন্দা ক্রিস একজন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। ভারতের অনিল আম্বানির রিলায়েন্স ন্যাচারাল রিসোর্সেস লিমিটেড কোম্পানিতে পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত অবস্থায় মুম্বাই শহরে রহিমা খাতুনের সঙ্গে তার দেখা হয়।

রহিমা খাতুন জানান, শৈশবে বাবা আবুল খাঁ ও মা নেছারুন নেছার হাত ধরে ভারতে পাড়ি জমান তিনি। পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। বাবা শ্রম বিক্রি করতেন। তের-চৌদ্দ বছর বয়সে বাবা তাকে বিয়ে দেন। সেখানে জমিও ক্রয় করেন। তিন সন্তানের মা তিনি। অভাবের তাড়নায় আগের স্বামী তার জমি বিক্রি করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

তিনি আরও জানান, মুম্বাইয়ের রাস্তায় ক্রিস হোগলের সঙ্গে তার পরিচয়। ছয় মাস পর বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন দুজন। বিয়ের তিন বছর পর কর্মসূত্রে ক্রিস হোগল স্ত্রী রহিমাকে নিয়ে যান চীনে। সেখানে ছিলেন পাঁচ বছর। এরপর তারা কেশবপুরের মেহেরপুর রহিমা খাতুনের বাবার ভিটায় ফিরে আসেন।

রহিমা জানান, মেহেরপুরে ফিরে আসার পর রহিমা খাতুনের বাবা আবুল খাঁ মারা যান। বাড়ির উঠানের পাশে তাকে কবর দেয়া হয়। রহিমার মা নেছারুন নেছা এখনো জীবিত রয়েছেন। রহিমার প্রথম স্বামীর তিনটি সন্তান কেশবপুরে থাকে।

ক্রিস হোগল বলেন, আমেরিকান স্ত্রীর সঙ্গে অনেক আগে বিচ্ছেদ হয় তার। সেখানে মা ও ছেলে মেয়ে রয়েছে। মেহেরপুরে বাড়ি নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে মা ও ছেলে-মেয়েকে বাংলাদেশে নিয়ে আসবেন। বাংলার সবুজ প্রকৃতি, ধানক্ষেত ও সরিষা ফুলের হলুদ রং আমাকে বিমোহিত করেছে। বাকি জীবনও এখানে কাটাতে চাই। এছাড়াও এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি করাসহ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করার ইচ্ছা রয়েছে তার।

Bootstrap Image Preview