গেলো বছরের ১৩ জুন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তরুণ উদ্যেক্তাদের আইকন ফাহিম সালেহ নিউইর্য়কের ম্যানহাটনে নিজ এপার্টমেন্টে নৃশংসভাবে খুন হন। জানা যায়, খুন হওয়ার আগে প্রায় ৬০ লাখ ডলার রেখে গেছেন তিনি।
খুন হওয়ার পর ফাহিমের হত্যাকারী হিসেবে আটক করা হয় তারই ব্যক্তিগত সহকারি টাইরেস ডেভোঁ হ্যাসপিলকে। এখন তার বিচার চলছে। নিউইয়র্কের নির্জন কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন।
খুন হওয়ার আগে নিজের সম্পত্তির আইনগত কোনো উত্তরাধিকার রেখে যাননি ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আইন রয়েছে। নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সারোগেট আদালতে ফাহিমের বোন রিফায়েত সালেহ তার ভাইয়ের সম্পত্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আবেদন জানিয়েছেন। সেখান থেকেই জানা গেছে মারা যাবার আগে ফাহিম প্রায় ৬০ লাখ ডলার রেখে গেছেন।
তবে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টের জন্য ফাহিমের ১৮ লাখ ডলারের ঋণের তথ্য রয়েছে আদালতের কাছে। এছাড়া ফাহিম ছিলে অবিবাহিত। নিউইয়র্ক রাজ্যের আইন অনুযায়ী, ফাহিম অবিবাহিত হওয়ায় তার সকল সম্পত্তির মালিক হবে তার মা রায়হানা সালেহ ও বাবা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
আদালতে ফাহিমের পরিবার আবেদন করে জানিয়েছে, চূড়ান্ত সাফল্যের আগেই ফাহিমকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাবা, মা ও বোনেরা ফাহিমের ব্যবসা ও তাঁর স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে ইচ্ছুক। আবেদনের পর বিচারক ফাহিমের অর্থ থেকে ৪০ লাখ ডলার উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক পোস্টসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম ফাহিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তার পরিবার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।