Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নতুন সম্ভাবনাঃ ভিয়েতনামের সাদা পাঙ্গাস চাষে অধিক লাভ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:০৩ PM
আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:০৩ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশে পাঙ্গাসের চাষ শুরু হয় প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় আগে। থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা ‘থাই পাঙ্গাস’ দিয়েই এদেশে পাঙ্গাস চাষের যাত্র শুরু। তখন থেকে ধীরে ধীরে এই মাছের চাষ অনবরত বেড়েছে। বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ মেট্রিক টন থাই পাঙ্গাস উৎপাদন হয়। দিনকে দিন এই মাছের চাষ বাড়লেও বাড়েনি মাছের দাম।

পক্ষান্তরে বহুলাংশেই বেড়েছে মাছের খাবার ও চাষের অন্যান্য সকল উপাদানের দাম। অপর পক্ষে অন্ত:প্রজননের কারণে আগের তুলনায় বৃদ্ধির হার গেছে কমে আর এফ.সি.আর. (Feed Conversion Ratio) গিয়েছে বেড়ে। ফলে শুরুতে থাই পাঙ্গাসের চাষ বেশ লাভজনক হলেও বর্তমানে লাভ খুবই কম, কখনোবা চাষীকে লোকসান গুনতে হয়।

এছাড়া চাষযোগ্য মাছের মধ্যে জাতীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে থাই পাঙ্গাস এক নম্বরে থাকলেও রপ্তানীতে একেবারে পিছিয়ে, রপ্তানী হয়ইনা বলতে গেলে। মাছের দাম কম হওয়ার এটিও একটি করণ।

এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এগিয়ে এসেছেন বেশকজন কৃষিবিদ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞানের কয়েকজন গ্রাজুয়েটের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মৎস্য হ্যাচারী স্বর্ণলাতা এগ্রোফিশারিজ লিঃ ভিয়েতনাম থেকে নিয়ে এসেছে হোয়ায়েট মাসলযুক্ত পাঙ্গাস।

ক্যাটালিস্ট ও ইনোভিশন কনসাল্টিং-এর উদ্যোগে ২০১১ সনে স্বর্ণলতা এই পাঙ্গসের মাতৃমাছ (ব্রুড) সংগ্রহ করে। সেই ব্রুড থেকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত এই হ্যাচারীতে এবছর দেশে প্রথমবারের মত ভিয়েতনাম হোয়ায়েট মাসল পাঙ্গাসের সফল কৃত্রিম প্রজনন করে উৎপাদিত হয়েছে প্রায় বিশ লক্ষ পোনা।

মাৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক স্বর্ণলতার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল কাদির তরফদার জানান যে, আমাদের দেশে এতদিন ধরে উৎপাদিত থাই পাঙ্গাস রপ্তানী বাজারে প্রবেশ করতে না পারলেও ভিয়েতনামের নতুন জাতের এই পাঙ্গাসের পক্ষে রপ্তানী বাজারে প্রবেশ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে মাছের মাংসের রংকে তিনি প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন।

থাই পাঙ্গাসের মাংসের রং লাল হলেও ভিয়েতনাম জাতের পাঙ্গসের মাংস সাদা। ফালে আমেরিকা-ইউরোপের বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একারণে ভিয়েতনাম প্রতি বছর শুধু পাঙ্গাস রপ্তানী করেই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জণ করে।

নতুন জাতের এই পাঙ্গসের বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর ড. হারুনুর রশীদ বলেন, মাংসের রঙের কারণে রপ্তানী বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের বাজারেও এই পাঙ্গাসের ভাল চাহিদা থাকবে।

এছাড়া থাই পাঙ্গাসের তুলনায় এফ.সি.আর. বেশ কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে, ফলে মাছ চাষী অধিক লাভবান হবে।

Bootstrap Image Preview