বিডিমর্নিং ডেস্কঃ ইয়াবা পাচারের বিষয়ে ওসি প্রদীপের বক্তব্য নিতে গেলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হুমকি দেয়া হয়। আর ইয়াবা পাচারের ঘটনা জেনে যাওয়ার কারণেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। লিয়াকতসহ বাকি আসামিকে নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাকট সাজিয়েছিলো ওসি প্রদীপ। সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব জানিয়েছেন আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
এর আগে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দিয়েছে র্যাব। রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। চার মাসের বেশি সময় ধরে মামলাটি আলোচিত।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সিনহা হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। সাবেক টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে এসআই লিয়াকত। ঘটনার নেপথ্যে ছিল ইয়াবা। অন্যদিকে নিহত সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলায় র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেছেন গত বৃহস্পতিবার। এতে এ দুইজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের দায়মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
র্যাবে জানায়, হত্যার ঘটনা তদন্ত নেমে র্যাব এখন পর্যন্ত ১৫ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জন র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। তারা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।