Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এইডস ঝুঁকিতে বাংলাদেশ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:০৪ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:০৪ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ দেশে এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ভারত। এদিকে ভারত সীমান্তের সঙ্গে দিনাজপুর জেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা। আর এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ’ পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে সাত থেকে আটশো যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। যদিও করোনার কারণে যাত্রী আসা-যাওয়া বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু দেশে প্রবেশের সময় ট্রাকের চালক, হেলপার ও পাসপোর্ট যাত্রীদের কোনও স্বাস্থ্য ও রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। এদিকে এইচআইভি এইডসের সংক্রমণরোধে কয়েকটি এনজিও কাজ করলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র দুটি এনজিও। এ অবস্থায় এইচআইভি এইডস আক্রান্তের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে হিলি স্থলবন্দরসহ সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্য দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৩৭৪ জন। শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১৯ জন। আর এখন পর্যন্ত এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে ২০১৯ সালেই মারা গেছেন ১৭০ জন।

হিলির এনজিওগুলোর সূত্রে মতে, হিলিতে ১৪ থেকে ১৫ জনের মতো এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, যার মধ্যে ২০১৯ সালেই তিনজন মারা গেছেন। তারা তিনজনই হিজড়া। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।

জানা যায়, ভারত থেকে পণ্য নিয়ে হিলি স্থলবন্দরে এসে পণ্যগুলো খালাস করতে অনেক সময় ১০ থেকে ১২ দিন লেগে যায়। ফলে যেসব ড্রাইভার বা হেলপার ভারত থেকে আসেন তাদের শারীরিক চাহিদার জন্য অনেক সময় ভাসমান যৌন কর্মীদের কাছে যেতে হয়। বিভিন্ন রকম পদ্ধতি নিয়েই ভাসমান যৌনকর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা করেন তারা।

হিলিতে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে কর্মরত লাইট হাউজ হিলির দুটি সাব ডিআইসি সেন্টারের কো অর্ডিনেটর মেস্তাফিজুর রহমান ও আরিফুর রহমান জানান, হিলি একটি সীমান্ত এলাকা। দুই দেশের অনেকেই এখানে রাত্রীযাপনসহ যৌনকর্মীদের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে করে এইচআইভি এইডসে আক্রান্তের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। হিলিতে লাইট হাউজের দুটি ইউনিট এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে কাজ করছে। এর মধ্যে একটি হিজড়া ও পুরুষ সমকামী জনগোষ্ঠীকে নিয়ে, অপরটি কাজ করছে যৌনকর্মীদের নিয়ে।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, সব সীমান্ত এলাকা এইচআইভি এইডসের ঝুঁকিতে থাকে। হিলি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। অনেক সময় পাশের দেশ থেকে এইচআইভি রোগী আসতে পারে। এ কারণে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। এখানে বেশকিছু এনজিও কাজ করছে, তাদের পাশাপাশি আমরাও কাজ করছি। যেকোনো রক্ত গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই এইচআইভি এইডস রোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এনজিওদেরকে বলা হয়েছে ইতোমধ্যে যাদের এই রোগ আছে তাদের যেন ঠিকমতো কাউন্সেলিং করা হয়, চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা যেন এই রোগ অন্য কোথাও ছড়ানোর সুযোগ না পায়। তাদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি অন্যান্য মানুষকেও এ বিষয়ে সচেতন করার কাজ করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview