বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য আমাদের অবিনাশী চেতনার প্রতিচ্ছবি। এটা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করতে চাইলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং বাংলাদেশের মানুষ তা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
৪ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরইএ) দুই দিনব্যাপী বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হচ্ছে আমাদের আদর্শিক, চেতনার, বিশ্বাসের ও গবেষণার বিমূর্ত প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হই, উৎসাহিত হই, তার আদর্শকে ধারণের কথা ভাবি। যখনই মানুষ বিপথগামী হয় তখন কিন্তু অস্তিত্বের উৎসের দিকে ফিরে যায়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে যারা বিরোধ, সমালোচনা ও অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়কেই বিতর্কিত করতে চায়।
এর আগে কর্মশালায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাণিসম্পদ খাত একটি অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে ক্রিয়াশীল। এখানে মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশের সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, শাহ মো. ইমদাদুল হক ও মো. তৌফিকুল আরিফ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. নাথু রাম সরকার বলেন, বিএলআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে হস্তান্তরের পরে তা মাঠপর্যায়ে ব্যবহার হচ্ছে। আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে খামারিদের জন্য যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বিএলআরআই। নানাবিধ সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সময় উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের প্রাণিসম্পদকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএলআরআই পরিচালক বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানান।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকসহ ১৮০ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেছেন।