Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভাসানচরের পথে ১৬৪২ রোহিঙ্গা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৭ AM
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৭ AM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তিনটি ঘাট দিয়ে আটটি জাহাজে করে মোট ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রথম জাহাজটি চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। এর আগে সকাল ৯টা থেকে রোহিঙ্গাদের জাহাজে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়। চট্টগ্রামের বোট ক্লাব, আরআরবি ও কোস্টগার্ডের জেটি থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায় বলে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমকেজেড শামীম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কক্সবাজার থেকে প্রপ্ত খবরে জানা গেছে, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে গতকাল বুধবার রাতে এবং আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্যাম্প থেকে নিয়ে উখিয়া কলেজমাঠে জড়ো করা হয়।

সেখান থেকে এই পর্যন্ত ১১টি বাস ভাসানচরে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেও আরও ২০টিরও বেশি বাস সেখানে রয়েছে। যেকোনো সময় ভাসানচর গমনেচ্ছু আরও রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাসগুলো রওনা করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভাসানচরে প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের রাখা হবে ৫ থেকে ১১ নম্বর ক্লাস্টারে। তিন মাসের মজুদ সক্ষমতার খাদ্য গুদামে প্রস্তুত ৬৬ টন খাদ্যপণ্য রয়েছে সেখানে। তবে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার। তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ভাসানচরে গড়ে তোলা আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৪৪০টি ঘর এবং ১২০টি সাইক্লোন সেন্টারে থাকতে পারবেন ১ লাখ ১ হজার ৩৬০ জন রোহিঙ্গা।

নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছেন। পাচ্ছেন খাদ্য, চিকিৎসা। এমনকি শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। রোহিঙ্গাদের জীবন যাপন নির্বিঘ্ন করতে আগেই ভাসানচরে পৌঁছেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় আড়াইশ সদস্য এবং ২২ এনজিওর কর্মকর্তারা। প্রথম দলের বসবাস শুরুর পর, কক্সবাজারের ক্যাম্পে থাকা মিয়ানমারের বাকি নাগরিকরাও ভাসানচরে আসতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।

২০১৭ সালের আগস্ট পরবর্তী সময়ে মায়ানমার সরকারে অব্যাহত দমন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। সে থেকেই তারা বাংলাদেশে সরকারের আশ্রয়ে রয়েছে।

Bootstrap Image Preview