খাগড়াছড়ির গুইমারায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রেজা মো. আলমগীর হাসানের আদালত এ রায় দেন।খাগড়াছড়ির পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বিধান কানুনগো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- খাগড়াছড়ির রামগরের চৌধুরীপাড়ার সাইফুল ইসলাম, মো. ফিরোজ, গুইমারা উপজেলার আবুল কালাম ও আবুল আসাদ। তাদের মধ্যে আসামি আবুল আসাদ পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাবেয়ার পরকীয়ার ঘটনায় সৌদি প্রবাসী স্বামী মোমিনুল হকের সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসলে কলহ বেড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়া নিজ ভাইয়ের ছেলে সাইফুল ও বোনের ছেলে ফিরোজকে দিয়ে কৌশলে স্বামী মোমিনুল হককে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে ফিরোজ তার বন্ধু আবুল কালাম ও আবুল আসাদ ওরফে মিঠুকে দিয়ে সব খরচ মিলে ১ লাখ টাকার চুক্তিতে মোমিনুলকে হত্যার ছক করেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পরিকল্পনা মাফিক খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রবীন্দ্রপাড়ায় নিয়ে মোমিনুলকে গলাকেটে ও কুপিয়ে করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার একদিন পর গুইমারা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখিয়ে পুলিশবাদী মামলা হয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১২জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৪ বছরের মাথায় এই রায় দেন।
বিধান কানুনগো বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন।