বিসিবি ও পিসিবির সমঝোতায় তিন দফায় পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। এমন জটিল সূচিতে এর আগে কখনো খেলেনি টাইগাররা। যা মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও।
কিন্তু কেন এমন জটিল সূচিতে রাজি হলো? এই বিষয়ে দেশের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকাকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জাণিয়েছেন,
‘সাধারণত দুই টেস্ট সিরিজের পর একটা বিরতি থাকে। এখানে যেহেতু দুই টেস্টের মধ্যে একটা লম্বা বিরতি, প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্ট হচ্ছে প্রায় দেড় মাস পর। স্বাভাবিক সূচি এভাবে হয় না। আমরা প্রায় দেড় মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছি, মাঝে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ছাড়া কিছু নেই। তখন ওয়ার্ম আপেরও দরকার আছে। দেড় মাস পর যে টেস্ট হবে সেখানে একটি ওয়ানডে রাখতে ওরা অনুরোধ করেছে। আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। আইসিসিও এটি ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করছি না এটা জটিল সূচি। হ্যাঁ, আমাদের সূচি এভাবে কখনো হয়নি। আমরা বারবার বলেছি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সফর করব। আমরা উপযুক্ত সময়ের কথা বলেছি। এটাই আমাদের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে, যেটিতে রাজি হয়েছি। সরকারও আমাদের সেভাবে ছাড়পত্র দিয়েছে।
যেহেতু সফরটা ভাগে ভাগে হচ্ছে। তিনবার বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে গিয়ে পিসিবির আর্থিক ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। সেটি কিছুটা পুষিয়ে নিতেই করাচিতে সিরিজের শেষ টেস্টের আগে এক ম্যাচ ওয়ানডে আয়োজন করতে যাচ্ছে পিসিবি।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সিরিজের সূচিঃ এসেছে পরিবর্তন, লাহোরে ২৪ থেকে ২৭ জানুয়ারি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আবার ৭ ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল।
এরপর দুই মাস বিরতি দিয়ে এপ্রিলে করাচিতে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ। ৫ থেকে ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট।