বিদেশি কোনো নাগরিক বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেতে চাইলে তার নিজ দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হবে।
ইসি সূত্র জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। তাতে সই করেছেন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক (বৈধ ও সঠিকতা যাচাইকরণ) মুহা. সরওয়ার হোসেন।
সম্প্রতি ফেনী সদর উপজেলায় চীনের নাগরিক জোয়াং জিং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পায়। এ-রকম পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন।
ইসির জারি করা নথিতে বলা হয়, ছবিসহ ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিদেশি কোনো নাগরিক বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে-
ক. ‘বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেম্পোরারি প্রভিশন) রুলস, ১৯৭৮ (সংশোধন)’ এর ৪ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপ-ধারার দ্বিতীয় শর্তাংশে ক্লজ ‘এ’ অনুসারে বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশে চার বছর বসবাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
খ. বাংলাদেশের নাগরিককে বিবাহ করার কারণে বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেম্পোরারি প্রভিশন) রুলস, ১৯৭ ‘-এর চার নম্বর ধারা ১ উপধারায় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এসআরও নম্বর ৩২৮ আইন/২০০৮ এর ‘এ’ অনুযায়ী বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, আবেদনকারীকে এফিডেফিটের মাধ্যমে নিজ দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হবে। আবেদনকারী এফিডেফিটের মাধ্যমে নিজ দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ যদি না করেন, তবে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
নথিতে আরও বলা হয়, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭-এর ক অনুসারে ছবিসহ ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ অবস্থায় মাঠপর্যায়ে বৈবাহিক সূত্রে কোনো বিদেশি নাগরিককে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে তার নিজ দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের প্রমাণ হিসেবে এফিডেফিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দাখিল করতে হবে।