Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাসপাতালে ভিড়, আইসিইউতেই থাকছেন ফারাবী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২২ PM
আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় আহত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবী (২৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেই (আইসিইউ) থাকছেন।

তার অতিরিক্ত অ্যাটেনডেন্স থাকার কারণে শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অপাতত তাকে ওয়ার্ডে দেওয়া হচ্ছে না।

ফারাবী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, আহত ফারাবীর অ্যাটেনডেন্স এত বেশি যে, তাকে এই মুহূর্তে ওয়ার্ডে দেওয়া চিকিৎসার জন্য ভালো হবে না। তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে আইসিইউতেই রাখা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। তিনি ইতোমধ্যেই তার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ফারাবীকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় করছে অনেকে। কিন্তু আইসিইউতে থাকার কারণে সবাই তার কাছে যেতে পারছে না। যদি এখনই ওয়ার্ডে দেওয়া হয়, তাহলে অ্যাটেনডেন্সের কারণে তার চিকিৎসার অবনতি হতে পারে।

এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ফারাবীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে তার ভেন্টিলেটর খুলে দেওয়া হয়। সেসময় তাকে নিউরোলজি বিভাগের কেবিন বা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, রবিবার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনঞ্জিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

Bootstrap Image Preview