রাজাকারের তালিকায় কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেল তা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তালিকা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এটা খুব খারাপ কাজ হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা রাজাকার, আলবদর, আলশামসের তালিকা নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি হচ্ছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সালের দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের নামের তালিকা। অনেকে শত্রুতা বসতও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সেই নামগুলোও এই তালিকায় আছে। এর মধ্যে ৯৯৬ জনকে বিভিন্ন অভিযোগ থেকে খালাসও দেওয়া হয়। আমরা খালাসপ্রাপ্তদের নামের ওই তালিকাটিও নোট হিসেবে যুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছিলাম।’
এমন একটি ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ ধরনের ভুল কতখানি সহনীয় তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হবে।’
জানা গেছে, রাজাকারদের তালিকা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা কোথায় খরচ হয়েছে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চলে আসে। এতে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। সবশেষ বিতর্কিত এই তালিকা স্থগিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।