ভারতে যেভাবে নাগরিক আ'ইন সংশোধন করা হয়েছে তাতে স্পষ্টভাবে মু'সলিমবি'দ্বেষ ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আ'ন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি সরকার মুসলিমবি'দ্বেষী ঘৃ'ণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। যতই সাম্প্রদায়িক বি'ষবাষ্প সৃষ্টি হয়, ততই বিজেপির ভোট পাল্লা দিয়ে বাড়ে। বিজেপি তাদের অভ্যন্তরীণ সং'কট ধা'মাচাপা দিতে আরও বেশি করে সাম্প্রদায়িকতা ছ'ড়াবে।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আ'ন্দোলন আয়োজিত ভারতে বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক সিএএ ও এনআরসি বা'তিল, অসা'ম্প্রদায়িকতা ও সমতার দক্ষিণ এশিয় মৈত্রী গড়ে তোলার আহ্বানে এক প্র'তিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের বিজেপির এই ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না। বরং এনআরসি ও সিএএ এর বি'রুদ্ধের সং'গ্রামে ধ'র্ম-বর্ণ পরিচয়ের বাইরে জনগণের সংহতি রচিত হয়েছে। এই সংহতি সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর বি'রুদ্ধে, সেটাই জনগণকে নতুন করে পথ দেখাতে পারে এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য নতুন ভবিষ্যতের দুয়ার খুলে দিতে পারে।
সমাবেশে বক্তারা এনআরসি ও সিএএ এর বি'রুদ্ধে ভারতীয় ছাত্র-জনতার আ'ন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, এই আ'ন্দোলনের ভেতর দিয়ে জনগণের ভেতরে যে সংগ্রামী সংহতির বীজ রোপিত হয়েছে তার মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন রাজনীতি শুরু হতে পারে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের সাম্প্রদায়িক এনআরসি ও সিএএ এর বিরুদ্ধে ছাত্রদের সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলা ন্যাক্কারজনক এবং বাংলাদেশ সরকারের ভারততোষণ নীতিরই বর্হিপ্রকাশ।
সমাবেশ থেকে এ হা'মলার তীব্র নি'ন্দা জানানো হয় এবং অবিলম্বে হা'মলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রে'ফতার ও বি'চারের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আ'ন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের অন্যতম সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখ্তার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।