Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

একই ব্যক্তির নাম রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:৩৬ PM
আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:৩৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় রাজাকারের তালিকা ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় একই ব্যক্তির নাম নিয়ে চলছে বিতর্ক।

রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় থাকা ওই ব্যক্তির নাম এবিএম আবদুল খালেক (মৃত), পিতা তোজম্বর আলী। চূড়ান্ত লাল মুক্তিবার্তায় তার নম্বর ০৬০৩০২০৪১৩, গেজেট নং-২০২।

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও রাজাকারের তালিকায় তার নাম আসায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

পটুয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার ও যুদ্ধকালীন সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের পটুয়াখালী জেলার অন্যতম সংগঠক এবং সদস্য কমরেড মোকছেদুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্রে এবিএম আবদুল খালেক সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচার কাজে সহযোগিতা এবং তাদের সংগঠিত করার জন্য চাকরির মায়া ত্যাগ করে তৎকালীন C.O.DEV অফিসে (বর্তমান বাউফল উপজেলা পরিষদ) থাকা একমাত্র সাইক্লোস্টাইল মেশিন (ছাপা কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) মুক্তিবাহিনীর কাছে তুলে দিয়ে গাডাকা দেন এ বি এম আবদুল খালেক। পাকহানাদার বাহিনী তাকে খুঁজে না পেয়ে তার গ্রামের বাড়ি বাউফলের মদনপুরা গ্রামে হানা দিয়ে তাদের বাড়ির পাঁচটি ঘর পুড়িয়ে দেয়। তার ১৪ জন স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে বাউফল উপজেলায় সংঘটিত যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবিএম আবদুল খালেক।

এ বিষয়ে এবিএম আবদুল খালেকের বড় ছেলে আল মামুন বলেন, আমার বাবা একজন ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা। রাজাকারের তালিকায় একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকা কতটা অপমানের তা কেবল ভুক্তভোগী পরিবার মাত্রই জানেন। দ্রুততার সঙ্গে এই তালিকা সংশোধনের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, তালিকায় এমন কোনো অসঙ্গতি থেকে থাকলে আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানাব।

 

Bootstrap Image Preview