ভারত সফর ‘বাতিল’ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর বাতিল নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার তিন দিনের সফরে তার নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সহিংস পরিস্থিতির কারণে এই সফর বাতিল করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান ডায়ালগে অংশ নিতে তিন দিনের সফরে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে ভারতের পক্ষ জানানো হয়েছে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তারা যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাই তাদের বিশ্বাস করতে চান বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
এদিকে নাগরিকত্ব বিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের একাধিক রাজ্য। বিলের প্রতিবাদে ত্রিপুরা, আসাম, মণিপুর, অরুণাচলের মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে একাধিক জায়গায় সেনা নজরদারি জোরদার করা হয়। আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে জারি করা হয় কারফিউ।
সেই সঙ্গে ১০ জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে। বিপর্যস্ত সড়ক ও রেল পরিষেবা। অবরোধের জেরে অন্তত ১০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বিক্ষোভ থামাতে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও টুইটারে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এরপরেও বিক্ষোভ থামানো গেল না আসামে। বরং কারফিউ ভেঙে গুয়াহাটির রাস্তায় নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি (সিএবি) সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাস হয়। এর দুদিন পরই বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। এখন শুধু রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে সিএবি।