বরগুনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। বেতাগী পৌর শহরে পেঁয়াজের কেজি ২৮০ টাকা। তবে সেটা সবার জন্য নয়। শুধু পরিচিত লোকদের কাছেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেতাগীর দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের কোনো দোকানে পেঁয়াজ নেই। মাঝে মধ্যে দু-একটি দোকানে থাকলে তা পরিচিত ছাড়া বিক্রি করে না।
এদিকে কেউ কেউ বলছে বেতাগী বন্দরের মুদি ব্যবসায়ী তৈয়ব আলীকে বরগুনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করায় বন্দর ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছেন।
তবে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য আড়তদারদের গুদামে পেঁয়াজ না থাকার কারণে এবং সরবরাহ না থাকার কারণে তারা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছে না।
আবার উপজেলার শহর পেরিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে গেলে দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া যায় তবে দাম কেজি প্রতি ২৫০-২৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারগুলোতে সরবরাহ না থাকায় বরাবরের মতো যুক্তি দিয়েছেন বিক্রেতারা। আবার অনেকে পেঁয়াজ না কিনে বাজার অন্যান্য বাজার করছেন।
ছোপখালির বাসিন্দা ক্রেতা শাহিনুর জানান, বাড়িতে একটাও পেঁয়াজ নেই। সকালে পেঁয়াজ কিনতে বাড়ির পাশের দোকানে গিয়ে শোনেন এক কেজি পেঁয়াজ ২৮০ টাকা। অনেক দাম করে পরে এক কেজি পেঁয়াজ ২৬০ টাকায় কিনে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
ঝোপখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম নান্টু বলেন, আজ পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি রান্না করতে বলেছি, কিছুদিন পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকব।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান বলেন, পেঁয়াজ সরবরাহ এবং মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে।