রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে যে সুবাতাস বইছিল, সে সুবাতাস যারা বিনষ্ট করতে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, খুনাখুনি করছে তাদের পাহাড় থেকে যেকোনো মূল্যে বিতাড়িত করব।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও নির্বাচনকাজে যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, একটা ভীতি পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা ছিল সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর। সারাদেশে যেমন জঙ্গি ও সন্ত্রাস মুক্ত করা হচ্ছে তেমনিভাবে পাহাড় থেকেও এ সন্ত্রাস মুক্ত করা হবে।’
বুধবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া তিন পার্বত্য জেলার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা রাত ১০টায় শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পাহাড়ে চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শান্তিচুক্তির আলোকে যেখান থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেখানেই পুনরায় নিরাপত্তার স্বার্থে চুক্তির আলোকে পুলিশ বা বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে।’
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিন আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহুল ইসলাম, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম সেনবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, বিজিবি চট্টগ্রার রেঞ্জের আঞ্চলিক কমান্ডার আমিনুর রহমান শিকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমাসহ তিন পার্বত্য জেলার আঞ্চলিক কমান্ডার, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি অধিনায়ক, ডিজিএফআই অধিনায়ক প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে তিন পার্বত্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে।