Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এলইডি লাইট লাগাতে বিদেশে প্রশিক্ষণ চাইলেন সরকারি কর্মকর্তারা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:০৯ PM
আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:০৯ PM

bdmorning Image Preview


ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪২ হাজার ৪৫০টি এলইডি লাইট লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৯ কোটি ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে। তবে প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণসহ বেশকিছু অসঙ্গতি থাকায় এখনও প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়নি। প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিস ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি সরবরাহ ও স্থাপনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. আল-আমিন সরকার স্বাক্ষরিত সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৯ কোটি ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২৯৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৭৩ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

প্রকল্পটির অনুমোদন ও বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটির অনুমোদিত অঙ্গ ও অঙ্গভিত্তিক বিস্তারিত ব্যয় বিভাজনে বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক প্রশিক্ষণ তথা বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, পেট্রল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, মোটরযান মেরামত ও সংরক্ষণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ লাখ এবং বৈদ্যুতিক স্থাপনা মেরামত ও সংরক্ষণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ছয় কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০টি হাইড্রোলিক লেডার ক্রয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা, ২০টি মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা, কম্পিউটার ও অ্যাকসেসরিজ ক্রয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ লাখ ৮২ হাজার টাকা, ইলেকট্রিক সরঞ্জামাদি ক্রয় খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

প্রকল্পের আওতায় ৪২ হাজার ৪৫০টি এলইডি লাইট ক্রয় ও ফিটিং বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৮৮ কোটি ১৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এলসিইউ, ডিসিইউ কন্ট্রোল ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৫ কোটি ৯২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা।

এসব লাইট অন-অফ করার জন্য এক হাজার ৩১টি কন্ট্রোল সুইচ বক্স কেনা হবে। এজন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাত কোটি ৬৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ইলেকট্রিক্যাল জিআই পোল ক্রয় এবং অন্যান্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ কোটি ৫১ লাখ ২২ হাজার টাকা। ইলেকট্রিক্যাল জিআই ব্রাকেট ক্রয় এবং অন্যান্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ কোটি ৬২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

প্রকল্প বাস্তবায়নে পাঁচ হাজার কিলোমিটার ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবল ও ওয়ার কেনা হবে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। দুই হাজার ৫২৫ ঘনমিটার সিসি ও আরসিস ওয়ার্কস বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। স্ট্রিট লাইট পোল ইনস্টলেশন অ্যান্ড ডিজমেন্টিং ওয়ার্কস বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

প্রকল্পে এক শতাংশ ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সি ধরা হয়েছে। এতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এছাড়া এক শতাংশ প্রাইস কন্টিনজেন্সি ধরা হয়েছে। এতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন কোটি ৬১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম প্রধান রবীন্দ্রনাথ বর্মোণ বলেন, অসুস্থতার কারণে অফিস থেকে আগেই বের হয়ে গেছি। এক্ষেত্রে কী কারণে বিদেশে প্রশিক্ষণের বিষয়টি আসলো, সেটি এখন বলতে পারব না। ফাইলটা না দেখে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

Bootstrap Image Preview