ক্যাসিনো কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যক্তি হচ্ছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ১০ দিন ধরে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বলছে, তিনি সর্বশেষ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। রোববার (৬ অক্টোবর) ভোট ৫টার দিকে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাবের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি ভারত সীমান্তের কাছাকাছি। সেখানে এক আত্মীয়র বাসায় ছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, সুযোগ বুঝে সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার।
তবে র্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য থাকায় সে সুযোগ আর কাজে লাগাতে পারেননি ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত সম্রাট। মধ্য রাত থেকে তার আত্মীয়র বাড়িটি ঘেরাও করে রেখে তাকে আটক করা হয়।
তাকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম।
র্যাব ও পুলিশ বলছে, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তারাই সম্রাটের নাম বলছেন। রাজধানীর ক্লাবপাড়ায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের বিরুদ্ধে।