Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাঁচ বছর প্রেম করে অস্বীকার, অতঃপর...

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:১৭ PM
আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:১৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পাঁচ বছর প্রেম করে তা অস্বীকার করা ও প্রেমিকাকে মারধর করায় নেত্রকোনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চুক্তিভিত্তিক নাইট গার্ডকে আটক করে থানায় দিয়েছে প্রেমিকার অভিভাবকরা। 

শরীফুল ইসলাম শরীফ নামের আটক যুবককে ছাড়াতে থানায় এসে হানা দেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার তাড়াইল থানার ধলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন।

পরবর্তীতে প্রেমিকার অভিভাক এবং স্থানীয় মৌগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান আবুনিকে নিয়ে বিয়ের আলোচনা করতে থানার বাইরে বেরিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের খাটপুড়া গ্রামে।

এ ব্যাপারে মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছে তারা। এখন তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। মেয়ের বাড়িতে ছেলেকে আটকে থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। মেয়েটি ছেলেকে বিয়ে করতেই চায়। কিন্তু ছেলে পিছলে যাচ্ছিল। মেয়ের বিরুদ্ধে এস এম এস দেখাচ্ছিল। দুই পক্ষেরই চেয়ারম্যানসহ অভিভাবক এসেছেন। তারা আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনা সরকারী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় শরীফের সাথে। গত পাঁচ বছর পূর্বে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। কিন্তু মেয়েটি জানতো না, শরীফ নেত্রকোনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নাইট গার্ডের চাকুরি করে।

এই চাকুরি করেও চলাফেরা তার অফিসারের মতোই। দামি মোটরসাইকেল ব্যবহারে মেয়েটি ধোঁকা খেলেও এরই মধ্যে তাদের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যে কারণে মেয়েটি ওই ছেলেকেই বিয়ে করতে চায়। কিন্তু শরীফ যখন খোঁজ পায় মেয়েটি অস্বচ্ছল পরিবারের তখন থেকে তার সাথে শুরু করে খারাপ ব্যাবহার। ফোন বন্ধ রাখা গালিগালাজ করাসহ সম্পর্কের অবনতি দেখা দেয়। এমন কি বিয়ে করবেনা বলেও অস্বীকার যায়।

এরই ধারবাহিকতায় ছেলের ফোন বন্ধ পেয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীফের বন্ধু পাসপোর্ট অফিসের দালাল চাঁনখার মোড় এলাকার ফিরোজের মাধ্যমে খবর পায় শরীফ অফিসে। পরে সেখানে ছুটে আসলে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আবার খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গেলে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। অভিযুক্ত শরীফ জানায় তাকে 'খারাপ গালিগালাজ' করায় গত দুই বছর ধরে সম্পর্ক নেই।

খবর পেয়ে শরীফের আত্মীয় স্বজন ও তাড়াইল থানার ধলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন ছুটে আসেন। এসময় মেয়ের পক্ষেও মৌগাতীর চেয়ারম্যান থানায় যান। উভয় পক্ষের কথা শুনে শরীফ রাজি হলে তারা থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান পরবর্তীতে তিন লাখ টাকা ধার্য করে বিয়ে দেন। 

Bootstrap Image Preview