চলমান ক্যাসিনো ও দুর্নীতি-লুটপাট বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান। একসময়ে যুবলীগের প্রধান কার্যালয়ে পিয়নের চাকরি করা এই আনিসুর এখন কোটিপতি। তাকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কিন্তু আত্মগোপনে থাকা আনিসুর রহমানের স্বাক্ষর করা বিবৃতি প্রকাশ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়েই এখন চলছে কানাঘুষা, গুঞ্জন।
বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যাপক সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন-জিএভিআই কর্তৃক ‘ভ্যাকসিনেশন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতের ‘ইমিউনাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশনের (জিএভিআই) বোর্ড সভাপতি ড. এনগোজি অকোনজো ইবিলা এবং সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেথ ফ্রাংকিলন বার্ক্লে।
এর ঠিক একদিন পরই গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জনে তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। কিন্তু বিবৃতিতে দেখা যায় আত্মগোপনে থাকা সংগঠনটির দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে যুবলীগের পক্ষ থেকে সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে চাকুরিতে যোগ দেন কাজী আনিসুর রহমান। বেতন ছিল মাসে ৫ হাজার টাকা। তখন তিনি নেতাদের হুট ফরমায়েশ শোনার পাশাপাশি কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতেন।
ধীরে ধীরে তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় কোনও কোনও নেতার সঙ্গে গড়ে ওঠে সখ্যতা। এর ঠিক ৭ বছর পর পিয়ন থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন তিনি। পিয়ন থেকে দফতর সম্পাদক বনে যাওয়া সেই আনিসুর এখন একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক।