Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৯৯৯ ফোন করায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৯ AM
আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৯ AM

bdmorning Image Preview


৯৯৯ ফোন কলের খেসারত হিসেবে এক নারীকে প্রতিপক্ষকে দিয়ে মিথ্যা মামলার ফাঁদে ফেলে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানোসহ পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরির্দশক) নওয়াবুরের বিরুদ্ধে। এছাড়া মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ফলে চলতি ডিগ্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েও ফলাফল এবং শিক্ষা জীবন অনিশ্চিতের আশঙ্কায় ভুগছেন ওই নারী।

এদিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত পুলিশ পরির্দশকের বিরুদ্ধে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রংপুর পুলিশ রেঞ্জ (ডিআইজি) ও গাইবান্ধা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন শাম্মি আকতার নামের ঔই ভুক্তভোগী।

নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগ, ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে ফাঁড়ির ইনচার্জ নওয়াবুর আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলেন, ফাঁড়িতে চল তোরে ডিম ঢুকিয়ে বুঝিয়ে দেবো, কেন ধরে নিচ্ছি।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, তুই পুলিশের বিরুদ্ধে ৯৯৯ নম্বরে কল করিস, তোকে ফাঁড়িতে নিয়ে মজা দেখাবো। পরে ফাঁড়িতে নিয়ে নারী গ্রাম পুলিশ সদস্য দিয়ে আমাকে মারধর করান।

এসময় নওয়াবুর বলেন, তুই ৯৯৯-এ কল করিস, তুই মাতব্বর হইছিস, তোকে জেলের ভাত খাওয়াবো। আমি বারবার অনুরোধ করলেও তার মন গলেনি। আমি ডিগ্রি পরীক্ষা দেওয়ার কথা বললেও আমাকে ছাড়া হয়নি। পরে ফাঁড়ি থেকে আমাকে সাদুল্যাপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নওয়াবুর আমাদের প্রতিপক্ষ শংকার চন্দ্রকে দিয়ে আমি ও বাবা-মা, বোন ও চাচাকে আসামি বানিয়ে মামলা করান। এসময় ওসি সাহেবকে অনুরোধ করায় পুলিশি প্রহরায় আমি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পুলিশ পরির্দশক নওয়াবুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গলিগালাজ ও মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। 

Bootstrap Image Preview