Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অস্থায়ী পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার হতো গুলশানের তিন স্পা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:০৬ PM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:০৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


গুলশানের স্পাগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতী ও মহিলাদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কার্য পরিচালনা করে আসছে আসামিরা। তারা রেসিডেন্ট সেলুন অ্যান্ড স্পা, লাইফ স্টাইল স্পা ও ম্যাংগো স্পাকে পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করে।

এছাড়া এতে তারা কিছু সংখ্যক নারী ও পুরুষকে আহ্বান করে স্পাগুলোকে অস্থায়ী পতিতালয় হিসাবে ব্যবহার করে। আসামিরা পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত থাকার সত্যতা প্রকাশ করেছে।

সোমবার গুলশানের তিন স্পা থেকে গ্রেফতার ১৮ জনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে গুলশান থানা পুলিশ। এ সময় দুই জনের রিমান্ড আবেদন ও ১৬ জনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আবেদনে এসব কথা উল্লেখ্য করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

এদিন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের ম্যাংগো স্পা থেকে গ্রেফতার আসাদুজ্জামানের দু’দিন ও লাইফ স্টাইল স্পার রুহে আলমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তিনটি স্পা থেকে গ্রেফতার ১৬ জন নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গুলশান থানায় করা মানবপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় ম্যাংগো স্পার আসাদুজ্জামানের সাতদিন ও লাইফ স্টাইল স্পার রুহে আলমের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসাদুজ্জামানের দু’দিন ও রুহে আলমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে ম্যাংগো স্পার মাহফুজা পৃথকভাবে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

এদিন গুলশান থানার মানবপাচারের পৃথক তিন মামলায় স্পার ১৬ নারীকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষে না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মহিলা বিবেচনায় তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- রেসিডেন্ট সেলুন অ্যান্ড স্পার সাদিয়া, রুমানা আক্তার, হিরা মনি, মমতাজ বেগম ও লাকি আক্তার মিম। লাইফ স্টাইল স্পার লিলি রেমা, সাহিদা, হাওয়া আক্তার, শারমিন আক্তার, মাধবী চিরং, কলি হক, সুমা সাংমা, টিনা খাতুন, রুবি ও লাকি।

কারাগারে পাঠানো অন্য নারী হলেন ম্যাংগো স্পার মাহফুজা সাথী। উল্লেখ্য, রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানের তিনটি স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ১৬ নারী ও তিনজন পুরুষসহ ১৯ জনকে আটক করে গুলশান থানা পুলিশ। স্পা সেন্টারগুলো হলো- লাইফস্টাইল হেল্থ ক্লাব অ্যান্ড স্পা অ্যান্ড সেুলন, ম্যাঙ্গো স্পা ও রেডিডেন্স সেলুন-২ অ্যান্ড স্পা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটকের মধ্যে একজন পুরুষের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview