Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সম্রাট এখন কোথায়?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩৪ PM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভুইয়া গ্রেফতারের দিন থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। তিনি এখন কোথায় এ নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।

রাজধানীর কাকরাইল রাজমণি সিনেমা হলের উল্টোপাশে আটতলা ভবনে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ব্যক্তিগত অফিস। ভবনটির চতুর্থ তলায় সম্রাটের অফিসের অবস্থান। এখানেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে বসেন।

দিনের অধিকাংশ সময় এখানেই কাটাতেন তিনি। রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এসব এই ভবনে বসেই সম্রাট নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সম্রাটের সহযোগী ও যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুইয়াকে ক্যাসিনো পরিচালনাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে যুবলীগের আরেক নেতা জিকে শামীমসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সম্রাটের অবস্থান নিয়ে তৈরি হয় আরও আগ্রহ।

কেউ কেউ বলছেন ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম অভিযানের দিন সম্রাট তার কাকরাইলের অফিসের অবস্থান করছিলেন। তবে বর্তমানে সম্রাট ওই অফিসে নেই, গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। আবার কেউ বলছেন সম্রাট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সম্রাটের ঘনিষ্ট বা যুবলীগের কেউই কিছু বলছেন না। 

তবে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এখন তার কাকরাইলে অফিসে নেই। তিনি অন্য কোথাও অবস্থান নিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সম্রাটের কাকরাইল অফিসের সামনেও আগের মতো কোনো ভিড় বা নেতাকর্মীর আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়নি। স্বাভাবিক সময়ে সেখানে সব সময় ভিড় থাকে।

সূত্রগুলো আরও জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পরও সম্রাট তার ব্যক্তিগত অফিসেই অবস্থান করেন। ওইদিন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যে কোনো সময় গ্রেফতার হচ্ছেন সম্রাট। দুপুর থেকে সারারাত যুবলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী সেখানে অবস্থা নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এরপরও দু’দিন অর্থাৎ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তিনি ওই অফিসেই ছিলেন। 

সম্রাট দেশের বাইরে চলে গেছেন এমন গুঞ্জনও আছে। তবে অপর একটি সূত্র জানায় সম্রাট যেখানেই থাক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নজরদারিতেই আছেন। অভিযানের প্রথম দিন থেকেই সম্রাটকে আইন-শঙ্খলা রক্ষাবাহিনী নজরদারিতে রেখেছে।

ওই সূত্রটি আরও জানায়, সম্রাটকে নজরদারির আওতায় রাখার জন্যই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তার দেশত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশের পক্ষ থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

 

 

Bootstrap Image Preview