Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ডেঙ্গুর পর এবার ‘জিকা’ ভাইরাসের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৪৯ AM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৫১ AM

bdmorning Image Preview


এডিস মশা থেকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হয় সে তথ্য এখন অনেকেরই জানা। কিন্তু এই মশা আরও যে মারাত্মক রোগের জীবাণু বহন করে, সেটি হল জিকা।

অথচ মানবদেহে জিকা শনাক্ত করার কোনো ধরনের ব্যবস্থা বাংলাদেশের হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে একেবারেই নেই। শুধুমাত্র সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-এ জিকা শনাক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্রাজিলে জিকার প্রাদুর্ভাবকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এখন জিকা চলে এসেছে বাংলাদেশের ঘরের কাছেই ভারত পর্যন্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে জিকা সংক্রমণের বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে নেপালও।

ডেঙ্গুজ্বরের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ গত কয়েক মাস ধরে সজাগ। কিন্তু বাংলাদেশ জিকা সম্পর্কে কতটা প্রস্তুত?

জিকা যে কারণে ভয়াবহ

বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশের সিলেটে একবার জিকা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল। জিকা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল উগান্ডায় ১৯৪৭ সালে এক ধরনের বানরের শরীরে।

১৯৫৪ সালে মানবদেহে এটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল নাইজেরিয়াতে। এরপর আফ্রিকা সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের কিছু দ্বীপে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেখা দেয়।

এর সবচাইতে বড় প্রাদুর্ভাব হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ২০১৫ সালে। এর লক্ষণগুলো দেখে সাধারণভাবে একে খুব ভয়াবহ মনে করেনি অনেকে। এর লক্ষণগুলো হল হালকা জ্বর, চোখে ব্যথা ও লালচে রঙ, মাথা ব্যথা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা এবং শরীরে র‍্যাশ।

কিন্তু পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন এই রোগ সম্পর্কে যা মনে করা হচ্ছে, মশা-বাহিত জিকা ভাইরাস তার চেয়েও অনেক বেশি ভয়ানক।

এর ফলে স্নায়ু বিকল হয়ে যেতে পারে যাতে অস্থায়ী পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে। কিন্তু জিকার সবচেয়ে ভয়াবহ একটি বিষয় হল গর্ভবতী নারী যদি এতে আক্রান্ত হন হবে তার শিশু মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত হতে পারেন।

এতে শিশুর মাথা ছোট হয়। অর্থাৎ তাদের মস্তিষ্ক সঠিক আকারের হয় না বা মস্তিষ্কের সঠিক বৃদ্ধি হয় না। এমন শিশুদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ার অথবা দেরিতে বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।

জিকার কারণে ২০১৫ ও ১৬ সালের দিকে ব্রাজিলে চার হাজারের মতো শিশু এমন সমস্যা নিয়ে জন্মেছে।

বাংলাদেশ যে কারণে জিকার ঝুঁকিতে

বাংলাদেশের শহর ছাড়িয়ে এডিস মশার দুটি প্রজাতিই সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে বলে সরকারি তথ্যেই পাওয়া যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্বের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলছেন, "বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি শহরে এডিস মশার যে ঘনত্ব রয়েছে তা অনেক বেশি। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সাথে কোনভাবে যদি এই ভাইরাসটা বাংলাদেশে চলে আসে তাহলে কিন্তু এটা আমাদের দেশে ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে।"

তিনি বলছেন, "পাশের দেশ নেপাল, ভারত ও মিয়ানমারে যদি জিকা পৌঁছে যায় তাহলে বাংলাদেশ বড় মাত্রার ঝুঁকিতে থাকবে। এডিসের দুটি প্রজাতির মধ্যে "এডিস ইজিপটাই" শহরে বেশি পাওয়া গেছে। 

Bootstrap Image Preview