Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাবনায় আদালত চত্বর থেকে আসামি-আইনজীবীসহ ৪ জনকে অপহরণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৫ PM
আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


পাবনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি মামলার দুই আসামি ও তার আইনজীবীসহ চারজনকে আদালত চত্বর থেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর তাদেরকে ব্যাপক মারপিট করে তিন জনকে আহত করে ফেলে রেখে যায় দুবৃর্ত্তরা।

সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার শিকার আসামিরা (জামিনপ্রাপ্ত) হলেন নাটোর জেলার বরাইগ্রাম থানার ভরতপুর গ্রামের তফিজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে আবু সাঈদ মোল্লা, সহিদ মোল্লা ও তাদের আইনজীবী সাইদুর রহমান চৌধুরী।

অপরজন হলেন আসামি সাঈদ মোল্লার শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাবনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ ইকবাল লিটন জানান, সোমবার দুপুর ২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এনএস ২৪০/১৮ মামলার পূর্ব নির্ধারিত চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। বাদি ও আসামিপক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন আদালতে। পরে আদালত থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার সময় আদালত চত্বরের গেট থেকে দুই আসামি ও তাদের একজনের শ্বশুর এবং আইনজীবীসহ ৪ জনকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনা জানার পর আইনজীবীরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ প্রশাসনকে জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। পুলিশি তৎপরতার এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের ব্যাপক মারপিট শেষে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে ছেড়ে দেয়। পরে তাদের মধ্যে দুইজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপহরণের শিকার পাবনা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান চৌধুরী জানান, মামলার কার্যক্রম শেষে তিনি মক্কেল ও তাদের স্বজনদের সাথে নিয়ে আদালত চত্বর থেকে বের হন। এমন সময় প্রধান গেটের সামনে থেকে ৯/১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের পথরোধ করে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির ভেতরেই মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ের কাছে নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে চেয়ারম্যানের সহায়তায় গুরুতর আহত দুইজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তিনি (আইনজীবী) আইনজীবী সমিতিতে ফিরে এসে তার সহকর্মীদের বিষয়টি জানান।

ওই আইনজীবী আরও জানান, হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় আবু সাঈদ মোল্লা এবং শহিদ মোল্লাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ জাহাঙ্গীর আলমকে এখনো (সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।

পাবনা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় আইজীবীদের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম পটল বাদি হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের উদ্ধার করে আমি চিকিৎসার জন্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি এবং আইনজীবীকে কোর্ট চত্বরে পাঠিয়ে দেই।

পাবনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শামীমা আকতার বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই পুরো শহরে পুলিশি অভিযান শুরু হয়। পরে সন্ত্রাসীরা বাধ্য হয়ে অপহৃতদের উপজেলা চত্বরে রেখে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

Bootstrap Image Preview